Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeকলকাতাসাসপেন্ড পার্থ, পদ কেড়ে নেওয়া হল মহাসচিবের, গেল জাগো বাংলার সম্পাদকের পদও

সাসপেন্ড পার্থ, পদ কেড়ে নেওয়া হল মহাসচিবের, গেল জাগো বাংলার সম্পাদকের পদও

Follow Us :

কলকাতা: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের পথেই হাঁটল তৃণমূল কংগ্রেস। দল থেকে সাসপেন্ড করা হল। পাশাপাশি, মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এ দিনই শিল্প-বাণিজ্য, তথ্য-প্রযুক্তি এবং পরিষদীয় মন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পার্থকে। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি নগদের পাশাপাশি সোনা-বহু দলিল উদ্ধারের পরই দলের অন্দরে চাপ বাড়ছিল। পার্থকে সাসপেন্ডের কথা ঘোষণা করার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দ্রুত তদন্ত শেষ করতে হবে। পার্থ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাঁর স্পষ্ট মন্তব্য, আইনের পথে লড়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে তারপর দলে ফিরতে পারবেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

বুধবার রাতেই দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, ‘‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক ছবি। আবার বলছি, যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এটাকে কোনওমতেই আড়াল করার চেষ্টা আমি করব না। এ একেবারেই কাম্য নয়। এটা মাথা হেঁট হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা। এত টাকা এক জায়গায় জমিয়ে রাখা আলিবাবার গল্পে দেখা গিয়েছিল! এই ছবি আমাদের পক্ষে গর্বের নয়, কলঙ্কের। গোটা পরিস্থিতিটাই অস্বাভাবিক।’’ বৃহস্পতিবার সকালে জল্পনা-চাপ আরও বাড়িয়ে কুণাল বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো উচিত। কেড়ে নেওয়া হোক মহাসচিবের পদ থেকেও। অপর মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্যও পার্থকে সরানোর দাবি তোলেন। তার পরই এ দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বৈঠকে বসে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। সেখানেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দলে ক্ষোভটা তৈরি হয়েছিল অনেক দিন ধরেই। গত মে মাসে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। দায়িত্ব দেওয়া হয় সুব্রত বক্সীকে। সুব্রত বর্তমানে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি, দলের সর্বভারতীয় কমিটির সহসভাপতিও। রাজ্যসভার সাংসদ এই নেতাকে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসিয়ে বাকি সদস্যদের নামও জানিয়ে দেন মমতা। সুব্রত ছাড়াও এই কমিটিতে ছিলেন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, অর্থ প্রতিমন্ত্রী তথা মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। প্রসঙ্গত, বৈঠকে তৃণমূলের বেশ কিছু নেতার নাম করেই উষ্মা প্রকাশ করেন মমতা। তারপরেই দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই সেদিন মনে হয়েছিল বাংলার রাজনীতির কারবারিদের।

সেই পদক্ষেপের দুই মাস কাটার আগেই পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে কম বেশি ৫০ কোটি উদ্ধারের পর ঘরে বাইরে চাপটা আরও বাড়ছিল। তার পরই প্রথমে দফতর কেড়ে নেওয়া হয়। আর এবার দল থেকেও বহিষ্কার করা হল।

তৃণমূলের মধ্যে যে হাতে গোনা কয়েক জনকে দাদা বলে সম্মোধন করেন মমতা, তাঁর মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন অন্যতম। এবার ২১ জুলাইয়ের সভাতেও ‘পার্থদা’ বলে তাঁর নাম উল্লেখ করেন দিদি। স্কুল সার্ভিস দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর জীবনযাপন নিয়ে চারিদিক থেকে অভিযোগ উঠছে। সাধারণ মানুষ, তৃণমূলের অনেক সমর্থক ছিঃ ছিঃ করছিলেন। পার্থর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা অভিযোগ সামনে আসার পরই দলের ভিতরে-বাইরে চাপ বাড়ছিল। এই ঘটনায় মর্মাহত হন মমতাও। প্রথম থেকেই বলে আসেছিলেন কোনও রকম দুর্নীতিকে তিনি সমর্থন করেন না।

RELATED ARTICLES

Most Popular