মুম্বই: প্রাক্তন এনসিবি (NCB) কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede) এবার পুলিশে (Police) নিরাপত্তা (Security) চাইলেন। তাঁর বক্তব্য, তিনি এবং তাঁর পরিবার বেশ কিছুদিন ধরে হুমকি (Threat) মেসেজ পাচ্ছেন। সমীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan) ছেলেকে মাদক মামলা থেকে মুক্তি দিতে ২৫ কোটি টাকা চেয়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনায় তদন্ত করছে সিবিআই। ওই ঘটনায় বোম্বে হাইকোর্ট সমীরকে আট জুন পর্যন্ত রক্ষাকবচ দিয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থা কোনও চরম পদক্ষেপ করতে পারবে না। এবং বলা হয়েছে এই সময় সমীর কোনও সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিতে পারবেন না। সিবিআই ডাকলে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। কোনও সাক্ষ্য প্রমাণ নষ্ট করতে পারবেন না।
সমীর সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী ক্রান্তি রেডকার বিগত চারদিন ধরে গুরুতর হুমকি এবং অশালীন মেসেজ পাচ্ছেন। এ বিষয়ে মুম্বই পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। সমীর তার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পেশ করে জানিয়েছেন, তিনি শাহরুখের কাছ থেকে কোনও টাকা চাননি। শাহরুখই তার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। ২০২১ সালে সমীরের নেতৃত্বাধীন টিম শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করেছিল। আরিয়ানের বিরুদ্ধে মাদক নেওয়া এবং মাদক রাখার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তাকে জেলও খাটতে হয়। পরবর্তীতে অবশ্য আরিয়ান খান বেকসুর খালাস হয়।
আরও পড়ুন: Jamai Sasthi | ‘জামাই ষষ্ঠী’তে মেয়ে-জামাইকে রেধে খাওয়ান এই সুস্বাদু পদ
গত মে মাসে আরিয়ানকে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। তারও আটমাস আগে একটি প্রমোদ তরণীতে মাদক পার্টি করার অভিযোগে আরিয়ান এবং তাঁর কয়েকজন বন্ধুকে গ্রেফতার করে এনসিবি। প্রায় তিন সপ্তাহ সংশোধনাগারে কাটাতে হয় শাহরুখ-পুত্রকে। এনসিবি বলে, আরিয়ান এবং ধৃত অন্য পাঁচজনের বিরুদ্ধে তেমন কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ মেলেনি। সেই কারণেই তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। আরিয়ান মামলার তদন্তে এনসিবি অফিসারদের ভূমিকা কেমন ছিল, তা খতিয়ে দেখার জন্য এনসিবি একটি সিট গঠন করেছিল। সিট সেই ভিজিল্যান্স রিপোর্ট সম্প্রতি দিল্লিতে এনসিবির সদর দফতরে জমা দিয়েছে। তাতেই ওই আট অফিসারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে বলে এক অফিসার জানান। ওই গোপন তদন্তেই ধরা পড়েছে, অফিসাররা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে মাদক মামলার তদন্ত করেছেন। তদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৬৫ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল মূল তদন্ত চলাকালীন। তার মধ্যে অনেক সাক্ষীই তিন থেকে চারবার বয়ান বদল করেছেন। গোপন রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এর আগেও অনেক মাদক মামলায় নানা অনিয়ম করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। তদন্ত করতে গিয়ে ঘুষ চাওয়া হয়েছে।