কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আজ, বৃহস্পতিবার নবান্নে রিভিউ মিটিং করেন। সেই মিটিংয়ে কর্মসংস্থান নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বাংলার শাড়ির কথা তুলে ধরলেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রতিটি ব্লকে খোলা হবে বাংলার শাড়ির আউটলেট। এমনকী এই আউটলেটের ফ্রাঞ্চাইজিও দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, শুধুমাত্র বাংলার শাড়ি থাকবে এই আউটলেটে। উৎকর্ষ বাংলা পর্যালোচনা বৈঠকে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাংলার শাড়ির দামও এদিন বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিশ্ববাংলার শাড়ির দাম একটু বেশি। এখানে দাম সাধ্যের মধ্যে রাখতে হবে। বাংলার শাড়ি আউটলেটে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত শাড়ি পাওয়া যাবে। বিশ্ববাংলায় যেমন একলাখ টাকার শাড়িও আছে। কিন্ত এখানে ৩০০ টাকায় অনেক ভালো শাড়ি ও সালোয়ার পাওয়া যাবে। এখানকার জেনারেশন পাতলা ও হালকা শাড়ি ও জিনিস পছন্দ করে। ভারী জিনিস পছন্দ করে না। প্যাটার্ন বদলাও।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | পালাবদলের পর ৩৫ লক্ষ ছেলেমেয়েকে কারিগরি প্রশিক্ষণ, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে গয়না শিল্প ও হোসিয়ারি শিল্পের কথাও শোনা যায়। মমতা বলেন, মুম্বইয়ে গয়নার কাজ করতে যান আমাদের শিল্পীরা। ওদের কাজ খুব ভালো। এখানে তাহলে ওদের কাজ হবে না কেন? বেঙ্গল ডেয়ারিও রয়েছে আমাদের। দোকান আছে আমাদের। আপনারা তা চালান। রাজ্যের ৩৬৫টি ব্লকে আপাতত খোলা হবে শাড়ির আউটলেট। কেউ ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে চাইলে তাও দেবে সরকার।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের ৩৬৫টি ব্লকে আপাতত খোলা হবে এই আউটলেট। কেউ ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে চাইলে তাও দেবে সরকার। তিনি বলেন, বাংলায় সবধরনের শাড়ি আছে। তাঁত, ধনেখালি বালুচরি, মসলিন, ঢাকাই আরও কতধরনের শাড়ি আছে। আগে জেলার সদরগুলিতে বাংলার শাড়ি আউটলেট হোক। তারপর ব্লকে ব্লকে হলেও আপত্তি নেই। এখানকার ছেলে মেয়েরা দেখবেন সব মলে মলে জিনিস কিনতে ঢোকে। কারণ, তারা সেখানে সব জিনিস পায় বলে ঢোকে। এভাবেই আমাদের অনলাইনেও বিক্রি করার ব্যবস্থা করতে হবে।
শাড়ির পাশাপাশি এই আউটলেটে পাওয়া যাবে অন্যান্য জামা-কাপড়। এই আউটলেটে থাকবে ছেলেদের পোশাক। বাংলার শাড়ি শুধু নয়, অন্যান্য জামা-কাপড়ও থাকবে। মমতার কথায়, এখন তো বালুচরিরও পাজামা-পাঞ্জাবি হয়, বালুচরির প্যান্ট, কোট হচ্ছে! সরকারের তরফ থেকে এক্সক্লুসিভ বাংলার শাড়ির দোকান দেব। যেমনভাবে বিশ্ববাংলা একটা ব্র্যান্ড হয়েছে, তেমনই দোকান হবে। মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন শুধু শাড়ি নয়, সালোয়ার, কুর্তি, শার্ট-প্যান্ট অর্থাৎ বাংলার জামাকাপড়, যা যা ছেলে মেয়েরা পরে তা তৈরি করে এই বাংলার শাড়ি আউটলেটে রাখা হবে। বলেন, সুন্দর সুন্দর সালোয়ার তৈরি করে রাখা হবে। ছেলেদের জন্যেও পোশাক থাকবে। যাদের হোটেল আছে। তারা হোটেলে যদি একটা করে স্টোর খোলেন।
মমতা আরও বলেন, মুর্শিদাবাদ সিল্ক কড়কড়ে হয়, এখনকার মেয়েরা কড়কড়ে শাড়ি পরতে পছন্দ করে না। আমি ফাইবারটা একটু হালকা করে দিয়েছি বালুচরিতে। এখনকার মানুষদের জন্য শাড়ি হালকা ও পাতলা করতে হবে।