কলকাতা: শনিবার দীর্ঘ প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ (Interrogation) করার পর নলহাটিতে বিভাস অধিকারীর (Bibhas Adhikari) বাড়ি থেকে সন্ধ্যায় বেরিয়ে গেলেন সিবিআই (CBI) অফিসাররা। তাঁরা দুটি মোবাইল ফোন এবম পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত সমস্ত নথি নিয়ে গিয়েছেন। সিবিআই এদিন বিভাসের কলকাতার ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালায়। সেই ফ্ল্যাট তারা সিল করে দিয়েছে। এখানে সিবিআই অফিসাররা প্রায় তিন ঘণ্টা তল্লাশি চালান।বিভাস সিবিআই তদন্তে খুশি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা চলে যাওয়ার পর বিভাস বলেন, আমি ওঁদের ব্যবহারে খুশি। তাঁরা আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছেন। আমিও তদন্তে সহযোগিতা করেছি। আবারও করব। যতবার সিবিআই বা ইডি আসবে, ততবার আমি ওদের সাহায্য করব। প্রাক্তন ওই তৃণমূল নেতা জানান, সিবিআই তাঁকে নোটিস দিয়ে তলব করেছিল। অসুস্থার জন্য তিনি যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন। তাঁর আবেদন ছিল, সিবিআই অফিসাররা এলে ভালো হয়। বিভাস বলেন, ওঁরা এসেছেন, ভালো হয়েছে। আমি চেয়েছিলাম, সিবিআই অফিসাররা নিজের চোখে এই ঠাকুরবাড়ি বা আশ্রম দেখে যান। তাঁর অভিযোগ, মিডিয়া তাঁর নামে অনেক অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারও শেষ হওয়া দরকার ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিভাস জানান, রবিবার আর্য সমাজ নামে একটি নতুন সংগঠন গড়বেন তিনি। অনেকদিন ধরেই এটা তাঁর পরিকল্পনা ছিল। তাঁর নামে অভিযোগ, তিনি নাকি তিন হাজার মানুষকে স্কুলে চাকরি দিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে বিভাস বলেন, তিন হাজার চাকরি না ৫০ হাজার চাকরি দিয়েছি, তা একদিন সিবিআই বা ইডি জানাবে। গোটা ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে বলে অভিযোগ এই প্রাক্তন তৃণমূল নেতার। তিনি বলেন, তৃণমূলের একটি অংশ হয়ত চাইছিল, আমি যাতে আর দলটা না করি। তার জন্য আমাকে বিপাকে ফেলার চক্রান্ত হতে পারে। আবার আমি যাতে দলে গুরুত্ব না পাই, তার জন্যও তৃণমূলের একটি অংশ সক্রিয় হতে পারে। তার জন্যও আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Hot Weather Civic Volunteer Death | উষ্ণ পয়লা বৈশাখ, গরমে মালদহে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু
নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে ধৃত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তলের মুখে বিভাসের নাম প্রথম শোনা যায়। শনিবার বিভাস বলেন, চোর, ডাকাতরা নিজেরা বাঁচার জন্য অনেক আজেবাজে কথা বলে। ওদের কথায় গুরুত্ব দিয়ে লাভ নেই। ২০২০ সাল পর্যন্ত বিভাস বীরভূমে তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। অপারেশনের কারণে তিনি পদ ছেড়ে দেন বলে দাবি বিভাসের। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম আগেই জড়িয়েছে। ধৃত তাপস মণ্ডল-সহ একাধিক শিক্ষাকর্তার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ। তিনি জানান, তাঁর, ছেলের এবং পরিবারের আরও অনেক সদস্যর ব্যাঙ্কের নথি, বিএড কলেজের কাগজপত্র সিবিআই নিয়ে গিয়েছে। তিনি সব প্রস্তুত করে রেখেছিলেন।