Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeকলকাতাতৃণমূল অন্যায়কে প্রশয় দেয় না, মহাসচিবকে সাসপেন্ড করার পর বার্তা অভিষেকের

তৃণমূল অন্যায়কে প্রশয় দেয় না, মহাসচিবকে সাসপেন্ড করার পর বার্তা অভিষেকের

Follow Us :

কলকাতা: কোনওরকম অন্যায় তৃণমূল কংগ্রেস মেনে নেবে না, তা আগেই স্পষ্ট করেছিলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বৃহস্পতিবার ‘বিতর্কিত’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের পর দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়৷ তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকের পর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস কোনওদিনই অন্যায়কে বরদাস্ত করবে না৷ আজও করেনি৷ ভবিষ্যতেও করবে না৷’ এরপরই কারও-কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ছবি প্রকাশ হওয়া মাত্রই ঘনিষ্ঠতা নয়৷ সেকথা ফের একবার তুলে ধরে নাম না করে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারীকে৷ যেভাবে শুভেন্দু বিজেপিতে গিয়ে অন্যদের দুর্নীতিযুক্ত বলে অভিযোগ করছেন তার সমালোচনা শোনা যায় অভিষেকের কথায়৷ 

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রতিটি পেশাতেই কিছু মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত থাকেন৷ কিন্তু তা বলে দু-একজনকে সামনে রেখে গোটা দলকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলা যায় না৷’ এরপরই বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে অভিষেকের কটাক্ষ, কেউ আজ বিজেপিতে গিয়ে নিজেকে সব দোষমুক্ত বলে মনে করছেন৷ কিন্তু অন্য দলে থাকলে তাঁর উপরে নানা অভিযোগ আনা হচ্ছে৷ ইডি-সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক৷ তিনি বলেন, ‘এমন অনেক ঘটনা সামনে এসেছে যা দেখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতার উপর প্রশ্ন ওঠে৷ শুভেন্দুর নাম না করে এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের কটাক্ষ, এফআইআরে নাম থাকার পরেও বিজেপি করার কারণে কেউ কেউ সাধু হয়ে গিয়েছে৷ আশা করব, তদন্তকারী সংস্থাগুলো কোনও রাজনৈতিক দলের অঙ্গুলিহেলনে না চলে স্বাধীনভাবে কাজ করবে আগামিদিনে৷

ইডি-সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ‘সঠিক ভাবে তদন্ত হলে অনেককেই জেলের পিছনে থাকেন৷ কিন্তু দেখা গিয়েছে বারবার শুধুমাত্র বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের উপরেই তদন্তকারী সংস্থার খাঁড়া নামিয়ে আনা হয়৷ বিজেপি করলে সবাই ধোঁয়া তুলসিপাতা? এই প্রশ্ন তুলে অভিষেক বলেন, ‘আমরা তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ মানুষের কাছে দায়বদ্ধ৷ গত কয়েকদিন যা তথ্য-নথি-প্রমাণ-ছবি সামনে এসেছে তা জনমানসে একটা প্রভাব তৈরি করেছে৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের মহাসচিব৷ তৃণমূল দলের মহাসচিবকেও রেয়াত করে না৷ সাধারণ মানুষের কাছে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটা স্বচ্ছ সরকার, স্বচ্ছ রাজনৈতিক দল তুলে ধরার৷ সে কারণে আজ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল৷’ বিজেপিকে আক্রমণ করে এরপর অভিষেকের হুঙ্কার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে অনেক দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষদের ছবি সামনে এসেছে৷ বিজেপির অনেক নেতা দুর্নীতিগ্রস্ত বা যাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে৷ তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা করেছে এখন এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় এসেছে৷ 

RELATED ARTICLES

Most Popular