ওয়াশিংটন: বালটিক সাগরে (Baltic Sea) নর্ড স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইনে গ্যাস লিকের ঘটনা ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হয়েছে। আর এবিষয়ে রাশিয়া যা বিবৃতি দিয়েছে, তার একেবারেই বিশ্বাস করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট (US President) জো বাইডেন (Joe Biden)।
মার্কিন রাষ্ট্রপতির অভিযোগ, “এটা ইচ্ছাকৃতভাবে নাশকতা ঘটানোর কাজ (Deliberate Act of Sabotage)। রাশিয়া (Russia) এখন এবিষয়ে অসত্য এবং মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছে।” গত শুক্রবার হোয়াইটহাউসে সংবাদমাধ্যমকে বাইডেন আরও জানিয়েছেন, “আমরা আমাদের বন্ধু দেশের সঙ্গে কাজ করছি ঠিক কি ঘটেছিল, তা গভীরে গিয়ে জানার জন্য এবং ইতিমধ্যেই আমার নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোর সুরক্ষাবৃদ্ধির জন্য আমাদের বন্ধুদের সাহায্য করাও শুরু হয়ে গিয়েছে।”
আরও পড়ুন: Pakistan Flood: বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ চায়
নাশকতার অভিযোগ আনলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর অভিযোগের সপক্ষে কোনও রকম পোক্ত তথ্য-প্রমাণ দেননি। তবে তাঁর এই দাবি আন্তর্জাতিক মহলে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, বাল্টিক সাগরে জলের তলায় গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণে নাশকতার অভিযোগ বড় দাবি। বাইডেনের জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা জেক সুলিভান জানিয়েছেন, যেভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তাতে ওই ঘটনা ঘটানোর জন্য অতিসুক্ষ কৌশলের প্রয়োজন। কিন্তু তিনি সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও তথ্য-প্রমাণ প্রয়োজন। ন্যাটোর সহযোগী কোনও দেশ (NATO Allies) এর জন্য দায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তা বিশ্বাস করে না।
এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, নর্ড স্ট্রিম ১ এবং নর্ড স্ট্রিম ২ গ্যাস পাইপলাইনে লিক হওয়ার মোট চারটি ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য ডুবুরিদের একটি দলও পাঠিয়েছে।
নরওয়ে এই বিষয়ে তাদের এক ঘোষণায় জানিয়েছে, বাল্টিক এবং উত্তর সাগরে তেল ও গ্যাস ইনস্টলেশনের কাজে নজরদারি বাড়াতে জার্মানি, ফ্রান্স, এবং ব্রিটেন তাদেরকে সাহায্য করছে। সংশ্লিষ্ট বেসরকারি কোম্পানিগুলিও তাদের উদ্যোগে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে ইতিমধ্যেই। ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে শক্তি সঙ্কট নিয়ন্ত্রণের নীতিতে বিভিন্ন মহলে থেকে সমর্থন আসার পরই ইউরোপে (Europe) প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম আচমকাই নেমে যায়। বাইডেনের আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগী দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন এই বিস্ফোরণের বিষয়ে। তবে তিনি কোনও পোক্ত প্রমাণ দিতে পারেননি। পুতিনের সেই অভিযোগ সরাসরি নাকচ করে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন পাল্টা অভিযোগ এনে বলেন, রাশিয়া মিথ্যা কথা বলছে।