নয়াদিল্লি: চীনে সংক্রমিত ‘ওয়াকিং নিউমোনিয়া’ ভারতেও দেখা দিল। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার এর সঙ্গে চীনের কোনও যোগাযোগ নেই বলে জানিয়েছে। ওয়াকিং নিউমোনিয়া বা ডাক্তারি পরিভাষায় বলে মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ জন। নয়াদিল্লি অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে (AIIMS) গত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর ৭ জনের আক্রান্ত খবর মিলেছে।
সংবাদমাধ্যমের এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় চীনের সঙ্গে ভারতে আক্রান্ত হওয়ার যোগসূত্র টানাকে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, এসব খবর বিভ্রান্তিকর এবং অসত্য। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এদিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শিশুদের মধ্যে যে শ্বাসকষ্টজনিত সংক্রমণের খবর মিলছে, তার সঙ্গে এই ৭ জনের আক্রান্ত হওয়ার কোনও মিল নেই। এনিয়ে অহেতুক ভয় পাওয়ারও কোনও কারণ নেই। দেশের কোনও অংশে এ ধরনের সংক্রমণের কোনও খবর নেই। প্রতিটি রাজ্য সরকারের সঙ্গে প্রতিদিন এনিয়ে যোগাযোগ রেখে চলেছে কেন্দ্র, বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন: ‘ডিপফেক’-এর শিকার বর্ষীয়ান শিল্পপতি রতন টাটা
চীনে (China) ‘ওয়াকিং নিউমোনিয়া’র (Walking Pneumonia) প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে সতর্ক করে দিল ভারত সরকার (India Govt)। শ্বাসকষ্ট সংক্রান্ত অসুস্থতার (Respiratory Illness) বিষয়ে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বেশ কয়েক মাস ধরে চীনে একটি বিশেষ ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza) দেখা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) চীনের কাছে ক্লিনিক্যাল রিপোর্ট চেয়েছিল। তার উত্তরে চীন দুদিন আগেই জানিয়ে দেয়, এর পিছনে নতুন কোনও ভাইরাস নেই। তা সত্ত্বেও সতর্কতা হিসেবে নয়াদিল্লি রবিবার রাজ্যগুলিকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি যেন জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং হাসপাতালগুলিকে তৈরি রাখে। যে কোনও ধরনের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে সেই মুহূর্তে যাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যায় তার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। কোভিড ১৯-এর সময় সংশোধিত পর্যবেক্ষণ কৌশলের যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল, এই অ্যাডভাইজরি খানিকটা সে রকমই। রাজ্যগুলিকে জেলাস্তরে নজরদারির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এর মূল বিষয় হল, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুখের উপর কঠোর নজর রাখা। এছাড়া শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার দিকে খেয়াল রাখা। অন্যদিকে, চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক এ জাতীয় অসুখের প্রকোপ বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে নিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে জ্বর-কাশি সংক্রান্ত চিকিৎসা কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছে। প্রসঙ্গত, কোভিড ১৯-এর বিধি লঘু করার পর এবারেই প্রথম শীতকালের মুখোমুখি হতে চলেছে চীন।
অন্য় খবর দেখুন