রাতে ঘুমের অভাব কিংবা কাজের চাপ অথবা ক্লান্তির ছাপ ফুটে উঠেছে চোখে মুখে? সমস্যার সমাধানে ঘরোয়া পরিচর্যাও শুরু করেছেন কিন্তু খানিকটা সময় তো লাগবেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে। এর মধ্যে চোখের চারপাশে কালি নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরোনোর কথা ভাবলেই বিরক্ত লাগছে! তা চোখের কুঁচকে যাওয়া চামড়াই হোক কিংবা কালো দাগছোপ মেকআপ দিয়ে সহজেই ঢেকে ফেলুন এভাবে।
- প্রথমে মুখ ভাল করে পরিষ্কার করে চোখের চারপাশে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
- এবার কমলা রঙয়ের কনসিলার দিয়ে আই এরিয়া ও পিগমেনটেশনের জায়গায় আঙুল দিয়ে আলতো করে এই কলসিলার লাগিয়ে নিন। চোখের মেকআপের সময় সবসময় মাথায় রাখতে হবে এই জায়গাগুলো মুখের অন্যান্য জায়গার থেকে বেশি সংবেদনশীল তাই জোরে ডলা বা ঘষা চলবে না।
- এরপর একেবারে হালকা সবুজ রঙয়ের কারেক্টার দিয়ে মুখের ব্রণ ও দাগ ছোপ অংশ লাগিয়ে নিন। ফেস স্পঞ্জ দিয়ে আলতো ভাবে থুপে থুপে কনসিলার ও কারেক্টার ত্বকের সঙ্গে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন।
- এবার আপনার স্কিন টোন অনুযায়ী কনসিলার বেছে চোখের নীচে, গালে ও খুতনির ওপর লাগিয়ে নিন এবং ব্লেন্ডার স্পঞ্জ দিয়ে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিন।
- এবার কনসিলার সেট করার জন্য মেকআপ ব্রাশের গোড়ায় লুজ পাউডার লাগিয়ে মুখের ওপর সমান ভাবে লাগিয়ে নিন।
- এবার ‘সেম স্কিন টোনের’ থেকে ২কোট ডার্ক কনসিলার নিয়ে চোখের কুঁচকে যাওয়া চামড়ায় আলতো করে ব্রাশ দিয়ে লাগিয়ে ভাল করে ত্বকের সঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। আর স্পঞ্জ দিয়ে থুপে থুপে প্যাচ সরিয়ে নিন।
- এবার মুখের অন্যান্য জায়গায় পিগমেনটেশন ঢাকতে ব্রাশে লুজ পাউডার লাগিয়ে গোটা মুখে লাগিয়ে নিন।
- এরপর কনসিলারে ম্যাট অরেঞ্জ আই শ্যাডো মিশিয়ে নিন। এবার এটি যেখানে পিগমেন্টেশন রয়েছে সেখানে লাগিয়ে নিন।
- এরপর সেম স্কিন টোনের কনসিলার মুখের দাগ ছোপের ওপর লাগিয়ে ত্বকের সঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন।
(ছবি সৌ: Unsplash)