নয়াদিল্লি: পুনর্বাসন কেন্দ্র (Rehabilitation centre) থেকে ফেরার পরদিনই গোটা পরিবারকে খুন করল এক যুবক। কেশব নামে ২৫ বছরের মাদকাসক্ত (drug addict) ওই যুবক বাবা-মা, বোন ও ঠাকুমাকে কুপিয়ে খুন করেছে। শ্রদ্ধা ওয়াকার (Shraddha Walkar) খুনের তদন্ত নিয়ে যখন দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) শশব্যস্ত, তখন ফের একই বাড়িতে পরিবারের চারজনকে খুনের ঘটনায় শিরে সংক্রান্তি তদন্তকারীদের।
দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির পালামে (Palam) বাড়ি কেশবদের। পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে ফেরার পর থেকে অশান্ত ছিল সে। রাতে বাড়ির লোকের সঙ্গে ঝগড়া বাধে। তখন সে ধারাল অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাড়ির লোকের উপর। পুলিশ জানিয়েছে, কাউকে গলার নলি কেটে, কাউকে একাধিকবার কুপিয়ে খুন করে সে। ৭৫ বছর বয়সি কেশবের ঠাকুমা, বাবা দীনেশ, দর্শনা এবং অষ্টাদশী বোন উর্বশীর রক্তাক্ত দেহ তাদের আলাদা ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: MP: বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশে পুলিশি হেফাজতে ফের মৃত্যু এক যুবকের, গত তিনমাসে মৃত্যু তিনজনের
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে কেশব গুরুগ্রামের একটি চাকরি ছেড়ে দেয়। গত দেওয়ালি থেকে সে ঘরেই বসা ছিল। খুনের সময় সে মাদকে আচ্ছন্ন ছিল বলে পুলিশের দাবি। রাত সাড়ে ১০টার নাগাদ খুনের সময় পরিবারের লোকজনের আর্ত চিৎকার শুনে প্রতিবেশী এবং ওই বাড়িতেই থাকা অন্য আত্মীয়রা পুলিশকে খবর দেন।
খুনের পর কেশব পালানোর চেষ্টা করলেও আত্মীয়রা তাকে ধরে ফেলেন। প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা জানিয়েছেন, মাদকাসক্তির কারণেই চাকরি হারিয়েছিল কেশব। যা নিয়ে বাড়ির লোকের সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকত। বাড়ির লোক তাকে ওই পথ ছাড়ার জন্য পীড়াপীড়ি করলেও তাকে সুপথে আনা যায়নি। এই ঘটনা নিয়েই রাতে ঝগড়া বাধে বলে তাঁদের সন্দেহ।