নয়াদিল্লি: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) লোকসভা সাংসদ পদ খারিজের (Disqualification as MP) বিরুদ্ধে জনস্বার্থ আবেদন (PIL) সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। ‘মোদি’ পদবি নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে সুরাতের আদালতে দোষী সাব্যস্ত এবং ২ বছরের জেলের সাজা ঘোষণার রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ খারিজ হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ আবেদন জমা পড়েছে।
কেরলের এক সমাজকর্মীর ওই আবেদনে বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে অপরাধের গুরুত্ব বিচার করে রায় দেওয়া প্রয়োজন। গুরুতর, ঘৃণ্য অপরাধের ক্ষেত্রে সাংসদ বা বিধায়ক পদ অবিলম্বে খারিজের আইন প্রযুক্ত হতেই পারে। কিন্তু তা না হলে, ক্ষমতার অপব্যবহারের নিদর্শন তৈরি হয়। জনপ্রতিনিধি সব সময়েই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাঁদের কথা তুলে ধরেন। এভাবে যে কোনও অপরাধে ২ বছরের সাজা দিয়ে সেই প্রতিনিধির কণ্ঠরোধ গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলেও মনে করেছেন মামলাকারী।
আরও পড়ুন: BGBS 2023 | বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের টাস্কফোর্সের প্রথম প্রস্তুতি বৈঠক
রাহুল নিজে তাঁর বিরুদ্ধে সুরাত আদালতের রায় কিংবা সাংসদ পদ খারিজের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করেননি। উচ্চতর আদালতে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনও জানাননি। তার আগেই আইনের সংশোধন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন কেরলের সমাজকর্মী আভা মুরলীধরন।
প্রসঙ্গত, সদস্যপদ খারিজ নিয়ে শনিবারই সাংবাদিক সম্মেলন করেন কেরলের ওয়েনাড়ের লোকসভা সাংসদ। তিনি বলেন, জেলে ভরুক, সাংসদ পদ খারিজ করুক, মারধর করুক, লড়াই থামাব না, সাংসদ পদ খারিজের পর নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) তীব্র নিশানা রাহুল গান্ধীর (rahul Gandhi)। দিল্লিতে কংগ্রেসের (Congress) সদর দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আদানি ইস্যুতে মোদি সরকারকে ফের নিশানা করেন রাহুল। তিনি বলেন, আমাকে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। আমার মুখও বন্ধ করা যাবে না। আমি প্রশ্ন করেই যাব।
মোদি সরকারকে আক্রমণ করে রাহুল আরও বলেন, আমি এসবে ভয় পাই না। সংসদে আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে। মুখ বন্ধ করতেই আমার সাংসদ পহ খারিজ করা হয়েছে। আমি দেশের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য লড়াই করছি। মোদির সঙ্গে আদানির সম্পর্ক অনেকদিনের বলে দাবিও করেন রাহুল। এই প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, আমি জানি না উনি (Adani Groups) কোথা থেকে এসে জুটলেন। আদানিদের একটি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংস্থা কোন পথে রাতারাতি ২০ হাজার কোটি টাকা পেল সে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল।
তিনি বলেন, আদানি সংস্থার ২০ হাজার কোটি টাকা কার? গৌতম আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কী সম্পর্ক, জানতে চেয়েছিলাম। তাই আমার কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। কয়েক মাস আগে শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ পর্ষদের চেয়ারম্যান যে মোদির বিরুদ্ধে বিদ্যুৎপ্রকল্পের বরাত আদানিকে দেওয়ার জন্য কলম্বোর উপর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছিলেন, মনে করিয়ে দিয়েছেন সে কথাও। তাঁর অভিযোগ, লোকসভার স্পিকারকে আমি দুবার চিঠি দিয়েছি। সেই চিঠির আজ পর্যন্ত কোনও জবাব পাইনি। লোকসভার স্পিকার বলছেন, আসুন চা খান, কিছু করতে পারব না।