skip to content
Monday, July 1, 2024

skip to content
HomeদেশAFSPA Areas Reduced: আফস্পা প্রত্যাহার নাগাল্যান্ড, মণিপুর, অসমের একাংশ থেকে, বড় সিদ্ধান্ত...

AFSPA Areas Reduced: আফস্পা প্রত্যাহার নাগাল্যান্ড, মণিপুর, অসমের একাংশ থেকে, বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

Follow Us :

নয়াদিল্লি: আফস্পা প্রত্যাহার করা হল নাগাল্যান্ড, মণিপুর, অসমের একাংশ থেকে। কেন্দ্রের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটে লিখেছেন, কয়েক দশক পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার নাগাল্যান্ড, আসাম এবং মণিপুরে আফস্পার এলাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আফস্পার অধীনে এলাকা হ্রাস সার্বিকভাবে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে চলা নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়নকে ইঙ্গিত করছে।

পঞ্জাব থেকে প্রথম আফস্পা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। পরে ত্রিপুরা এবং মেঘালয় থেকেও দ্য আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট বা আফস্পা প্রত্যাহার করা হয়। তবে অরুণাচল, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর ও অসমে আফস্পা চালু ছিল। ডিসেম্বর মাসে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৪ নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যুর পর থেকেই আরও জোরাল হয় আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী করনাড সাংমাও আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি তোলেন।

আফস্পা কী? কী বলা আছে এই আইনে?

দ্য আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট সংক্ষেপে আফস্পা৷ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির বিচ্ছিন্নতাকামী শক্তি দমনে সেনাবাহিনীর হাতে বাড়তি ক্ষমতা তুলে দিতে ১৯৫৮ সালে এই আইন চালু করে কেন্দ্র৷ অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং অসমে চালু আছে৷ স্বাধীনতার এত বছর পরও এই আইন চালুর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে হামেশাই প্রশ্ন উঠেছে৷ উত্তর-পূর্বের বহু মানুষের চোখে আফস্পা হল ‘কালা আইন’৷

আরও পড়ুন: AFSPA: অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি তৃণমূল সাংসদদের

উত্তর-পূর্বের মানুষদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, আইনের অপপ্রয়োগ করে সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের উপরই দমন পীড়ন চালায়৷ এই আইনে বলা আছে, আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে এমন কোনও ব্যক্তিকে স্রেফ সন্দেহের বশে সেনাবাহিনী গ্রেফতার এবং গুলি করতে পারবে৷ বিনা ওয়ারেন্টে যে কোনও জায়গায় তল্লাশি চালার অধিকারও দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীকে৷ সন্দেহজনক গাড়ি থামিয়ে রাস্তায় তল্লাশি করতে পারবে৷ সর্বোপরি এই আইন সেনাবাহিনীকে রক্ষাকবচ দেয়৷ অভিযুক্ত কোনও সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত করার কোনও ধারা এই আফস্পায় নেই৷ ‘ড্র্যাকোনিয়ান’ সেই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দীর্ঘ ১৬ বছর অনশন চালিয়েছিলেন শর্মিলা চানু৷

RELATED ARTICLES

Most Popular