খড়্গপুর: এদেশের ইতিহাস শিক্ষাদীক্ষা, জ্ঞান, গরিমায় উজ্জ্বল। বর্তমানে প্রযুক্তিগত দিক দিয়েও আমাদের দেশ অনেক উন্নত। দেশের গৌরবে আইআইটি’র প্রাক্তনীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাঁদের অনেকেই হয়তো এই দেশে থাকেন না। তবুও, এই দেশের জন্য অনেক দূর থেকেও তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনীরাই যে এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান শক্তি, তা আজ এখানে না এলে বুঝতে পারতাম না। বিখ্যাত এই প্রাক্তনীদের সান্নিধ্য পেয়ে আমি গর্বিত, উচ্ছ্বসিত। খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনীদের সম্মানিত ও পুরস্কৃত করার অনুষ্ঠান অ্যালামনি ফ্রেটারনিটি (Alumni Fraternity)-তে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে রবিবার একথা বলেন, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনী বিনোদ গুপ্তার (এভারেস্ট ভেনচারের ম্যানেজিং পার্টনার) হাতে ‘ডক্টর অফ সায়েন্স’, অশোককুমার দেসরকারের হাতে ‘লাইফ ফেলো অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ এবং কল্যাণ চক্রবর্তীর হাতে ‘ডিস্টিঙ্গুইশড অ্যালামনি অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেন। তিনি বলেন, আমি খড়্গপুর আইআইটির এই বিখ্যাত প্রাক্তনীদের রাজভবনেও সান্নিধ্য পেতে চাইছি। আমি চাইব, রাজ্যের উন্নতির জন্য তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে।
আরও পড়ুন: Bijnor Murder: বিজনোরে জমিবিবাদে খুন রেশন ডিলার, ভাইরাল খুনের লাইভ ভিডিয়ো
প্রাক্তনীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া ছাড়াও, খড়্গপুর আইআইটির সুপার কম্পিউটিং ব্যবস্থারও সূচনা করেন তিনি। উল্লেখ্য যে, জাতীয় সুপার কম্পিউটিং মিশনের (National Super Computing Mission) আওতায় দেশের কম্পিউটার ব্যবস্থার উন্নীতকরণ এবং স্বদেশীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে দেশজুড়ে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই সুপার কম্পিউটার প্রকল্প চালু হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি খড়্গপুরেও(IIT Kharagpur)। এদিন এই ‘পরমশক্তি সুপার কম্পিউটিং সিস্টেম’-এর উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল। এই প্রকল্পের সূচনা করে, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ (Make in India) এর জয়গান গাইলেন ধনখড়। ধনখড় বললেন, আমি বিস্মিত! কত উন্নত, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার ব্যবস্থার সূচনা হচ্ছে আইআইটি-তে। ভারতের তৃতীয় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সুপার কম্পিউটিং সিস্টেমের সূচনা হল।
আরও পড়ুন: Review Meeting Of BSP: বহুজন সমাজ পার্টির খারাপ ফল, বৈঠক ডাকলেন মায়াবতী
এর আগে গত মাসে বেঙ্গালুরু আইআইএসসি(IISC Bangalore) তে ‘পরম-প্রভেগা’ নামে এই সুপার কম্পিউটিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা প্রথম সারির অত্যাধুনিক কম্পিউটারের ব্যবস্থা এবং ডেটা সেন্টার ইকোসিস্টেমে কাজে আসবে বলে আইআইটির ধারণা। আইআইটি খড়্গপুর এই ক্ষেত্রে পূর্ব ভারত, উত্তর-পূর্ব ভারত এবং উত্তর ভারতের নোডাল সেন্টার হিসেবে কাজ করবে।