লখনউ: বঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের পরে এবার সকল রাজনৈতিক দলের নজর রয়েছে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে। যা আগামী বছরের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত হবে। ৪০৩ আসনের মধ্যে ৪০০-র বেশি আসন নিয়ে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা দখল করার পরিকল্পনা করেছে সমাজবাদী পার্টি। সেই লক্ষ্য নিয়েই লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে সপা-র নেতাকর্মীরা।
ভারতের রাজনীতিতে একটা প্রবাদ রয়েছে যে দিল্লির রাস্তা উত্তরপ্রদেশ হয়ে যায়। দেশের সবথেকে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। সবথেকে বেশি লোকসভা এবং বিধানসভা আসন রয়েছে ওই রাজ্যে। উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতা দখল করতে পারলে লোকসভা নির্বাচনের লড়াই অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। সেই কারণে ওই রাজ্যের আইনসভা দখলের বিষয়ে সচেষ্ট হয় রাজনৈতিক দলগুলি।
আরও পড়ুন- কয়লা পাচার কাণ্ডে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে দিল্লিতে তলব ইডি-র
ওই রাজ্যের গত বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। ৪৭ থেকে পদ্ম শিবিরের আসন সংখ্যা পৌঁছে যায় ৩১২-তে। অন্যদিকে, ২০১২ সালে ক্ষমতা দখল করা সমাজবাদী পার্টির আসন সংখ্যা ২০১৭ সালে ২২৪ থেকে কমে যায় ৪৭-এ। গত নির্বচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ছিল সপা-র। কংগ্রেসের আসন সংখ্যাও অনেক কমে যায়। পরে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গ ছেড়ে মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট করেন অখিলেশ। সেই বুয়া-ভাতিজা জোটও মুখ থুবড়ে পরে।
এরপরে বিধানসভা নির্বাচনে আরও কোনও বড় দলের সঙ্গে জোট করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সপা সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। একার ক্ষমতাতেই ৪০০ আসন পার করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তাঁর দল। বৃহস্পতিবার রাজধানী লখনউ-তে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানিয়েছেন তিনি। অখিলেশের কথায়, “সমাজবাদীরা অর্থাৎ দলের কর্মীরা বলছেন, ‘আবকি বার ৪০০ পার’। মানুষকে আমাদের দিকে নিয়ে আসার জন্য আমাদের প্রয়াস জারি থাকবে।” ৪০৩ আসনের মধ্যে ৪০০ আসনের বেশি কেন্দ্রে জয়লাভ কী সম্ভব? এই বিষয়ে অখিলেশের বক্তব্য, “আপনাদের ধারণা নেই যে বিজেপি সরকারের কাজ মানুষ কতটা অখুশি। কৃষকদের আয় কমে গিয়েছ। আর রান্নার গ্যাসের দাম দ্বিগুণ হয়েছে।”
আরও পড়ুন- হাই কোর্টে বিশ্বভারতীর মামলার শুনানি শুক্রবার, সব পক্ষকে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ
ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে পা রেখেছে তৃণমূল। খোলা হয়েছে পার্টি অফিস। বিজেপি বিরোধিতার লক্ষ্যেই ওই প্রয়াস। বঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়ছিল সপা। ওই রাজ্যের নির্বাচনে ঘাস ফুল শিবির কোন অবস্থান নেই সেটাই এখন দেখার বিষয়।