skip to content
Monday, July 1, 2024

skip to content
HomeCurrent NewsVanisha Pathak: কোভিডে অনাথ মেধাবী কিশোরীকে ২৯ লক্ষ টাকা গৃহঋণ শোধের নোটিস...

Vanisha Pathak: কোভিডে অনাথ মেধাবী কিশোরীকে ২৯ লক্ষ টাকা গৃহঋণ শোধের নোটিস জীবনবিমার, পাশে দাঁড়ালেন নির্মলা

Follow Us :

কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: কোভিডে (COVID 19) অনাথ হওয়া ১৭ বছরের কিশোরীকে ২৯ লক্ষ টাকার গৃহঋণ (Repay Home Lone) মেটানোর নোটিস দিয়েছে জীবনবিমা (LIC)। করোনায় দেশের বহু ছেলেমেয়ে অকালে বাবা-মাকে হারিয়েছে (COVID Orphan)। এই অবস্থায় এমনিতেই তাদের বেঁচে থাকা কিংবা বড় হওয়ার স্বপ্ন অন্ধকারে ঢেকে রয়েছে। মাথার উপর থেকে বাবা-মায়ের ছায়া সরে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত নিয়তির সঙ্গে লড়াই করে চলেছে তারা। তেমনই এক কাহিনি ভোপাল শহরের বনিশা পাঠকের (Vanisha Pathak)।

আরও পড়ুন: Shah Rukh-Katrina Covid: করোনা আক্রান্ত শাহরুখ-ক্যাটরিনা , বাদশার আরোগ্য কামনায় টুইট মুখ্যমন্ত্রীর

১৭ বছরের কিশোরী বনিশা বাবা-মা দুজনকেই হারিয়েছে কোভিডকালে। মেধাবী ছাত্রী বনিশা মাধ্যমিকে ভোপালে ৯৯.৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান পেয়েছিল। মৃত্যুর আগে তার বাবা-মা বলে গিয়েছিলেন, হিম্মত হারিও না। সেই মেয়েই যখন রোজ বেঁচে থাকার সংগ্রাম চালাচ্ছে, তখন নতুন করে দুর্বিপাক ঘিরে ধরেছে তাকে। জীবনবিমা নিগম থেকে প্রায়শই তার কাছে বাবার নেওয়া গৃহঋণ শোধের আইনি নোটিস আসছে। বনিশার বাবা মাথার উপর ছাদ গড়ে তুলতে জীবনবিমা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। এখন এলআইসি তার কাছ থেকে সেই ঋণের টাকা ফেরতের দাবি জানিয়ে আইনি চিঠি পাঠাচ্ছে।

বনিশার বাবা জিতেন্দ্র পাঠক এলআইসি’র এজেন্ট ছিলেন। কর্মক্ষেত্র থেকে তিনি গৃহঋণ নিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর এখন বনিশার কাছে তাই বিমা সংস্থা ঋণের টাকা মেটানোর নোটিস দিচ্ছে। আইনি নোটিসে এও বলা আছে যে, টাকা না মেটালে কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।

নির্মলা সীতারমণ

বনিশা ও তার ছোট্ট এক ভাই দুজনেই নাবালক হওয়ায় কোম্পানি তাদের বাবার জমানো সমস্ত টাকা ও কমিশন প্রদানও বন্ধ করে দিয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রতি মাসে তাদের বাবা কমিশন বাবদ এই টাকা পেতেন। বনিশা বিমা সংস্থার কাছে চিঠি দিয়ে কিছুটা সময় চেয়েছে টাকা শোধ দেওয়ার জন্য। একটি সংবাদপত্রকে বনিশা জানিয়েছে, তার বাবার সব গচ্ছিত অর্থ ও কমিশন বন্ধ করে রেখেছে সংস্থা। তাদের রোজগারের কোনও রাস্তাও নেই যে, তারা এই মুহূর্তে ২৯ লক্ষ টাকার ঋণ মেটাতে পারে। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর বনিশা ও ভাই এক আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছে। তিনিও জানিয়েছেন, তাঁর কাছেও ২৯ লক্ষ টাকা মেটানোর মতো সংস্থান নেই।

আরও পড়ুন: JP Nadda: মঙ্গলবার দু’দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন জেপি নাড্ডা

এলআইসি এ ব্যাপারে জানিয়েছে, বনিশার আবেদন উচ্চস্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে যা নির্দেশ আসবে তাই হবে। যদিও বনিশার কাছে এখনও কোনও সদুত্তর আসেনি। এই অবস্থায় বিষয়টি জানতে পেরে পদক্ষেপ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Central Finance Minister) নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitaraman)। বনিশা পাঠকের সম্পর্কে টুইট দুনিয়া জানতে পেরে নির্মলা বিমা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। টুইট করে তিনি আর্থিক পরিষেবা সংক্রান্ত দফতর এবং এলআইসিকে এ বিষয়ে তাঁকে পূর্ণাঙ্গ বিষয়টি জানাতে বলেছেন। গৃহঋণের চুক্তি কিংবা শর্তাবলি এবং এখন সেটি কী অবস্থায় আছে তার স্ট্যাটাস জানতে চেয়েছেন নির্মলা।

এখন দেখার বনিশার দুরবস্থার বিষয়টি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নজরে আসায় কোনও সুরাহা মেলে কিনা অসহায় দুই ভাই-বোনের!

RELATED ARTICLES

Most Popular