কলকাতা: বাংলার আরও কাছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Cyclone Remal)। ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু। দুর্যোগ শুরু। রেমেল নিয়েও কড়া সতর্কতা হাওয়া অফিসের। কলকাতাতে ঝড় (Kolkata Cyclone Remal) হতে পারে ৮০ থেকে ৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে। অর্থাৎ তছনছের সম্ভাবনা প্রবল। রেমালের প্রভাবে লাল সর্তকতা জারি হয়েছে কলকাতায় (Remal Red Alert Kolkata)। সাংবাদিক সম্মেলন করে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় তৈরি কলকাতা পুরসভা। কর্মীরা তৈরি রয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় হেল্পলাইন নম্বর চালু করল কলকাতা পুলিশ। ৯৪৩২৬১০৪২৮, ৯৪৩২৬১০৪২৯ এই দুটি নম্বর চালু করেছে লালবাজার। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকেও চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর ২২৬৮১২, ১৩১৩, ১৪১৪ গুলিতে ফোন করতে পারবেন নাগরিকরা। কন্ট্রোলরুম খুলেছে রাজ্য বিদুৎ সংস্থাও। WBSEDCL-এর নম্বর ৮৯০০৭৯৩৫০৭-০৪ এছাড়াও ১৯১২১ এই নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে।
আরও পড়ুন: ভয় পাবেন না, অযথা উদ্বিগ্ন না হয়ে পড়ার পরামর্শ মমতার
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাস্তায় গাছ পড়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ল কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়ক। বিদ্যুতের তারের উপর গাছ ভেঙে পড়ে। তার ছিঁড়ে বেতাই এলাকার একাংশে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। সাগরের কচুবেড়িয়ার পুরষোত্তমপুরে ঝড়ের দাপটে গঙ্গাসাগর কচুবেড়িয়া রোডের উপর ভেঙে পড়েছে একের পর এক বড় বড় গাছ। যশোর রোড নাগেরবাজারগামী লেনে দমদম মল রোডের কাছে ভেঙে পড়ে একটি গাছ। গাছের ভাঙা অংশ গিয়ে পড়ে একটি গাড়ির উপরে। পূর্ব রেলের তরফে বিআর সিং হাসপাতালে স্পেশাল মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করা হল।
হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালির বিভিন্ন অঞ্চলে কালিন্দী ডাসা রামঙ্গল ইছামতি নদীর জলোচ্ছ্বাস বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন নদীর পাড়ের বাসিন্দারা। তাঁদের বিভিন্ন ফ্লাড সেন্টারে তাদেরকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে। সময় যত যাচ্ছে সুন্দরবন মানুষের আতঙ্ক বাড়ছে। বাডি ছেড়ে সাইক্লোন সেন্টারে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকে।ইতিমধ্যে প্রায় ৭,৫০০ মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, সাগরে। শুধুমাত্র সাগর ব্লকেই ৫,০০০ মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের বেশি দাপট হবে বাংলাদেশেই। সেই পরিস্থিতিতে আট লাখ মানুষকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সরকার।
অন্য খবর দেখুন
![YouTube player](https://i.ytimg.com/vi/6HqHnu6IpL4/maxresdefault.jpg)