বর্ধমান: দিলীপ আছে সেই দিলীপে। বাঘিনী ভোট হয়ে গেলেই বিড়াল হয়ে মিউ,মিউ আমি মেয়ে, আমি মহিলা, আমাকে একা দেখুন কেমন ঘিরে ফেলেছে। যা কর্ম করেছেন তার ফল ভুগতে হবে । আর সিমপ্যাথি পাবেন না। পুরো বাংলা সমাজকে দুর্নীতিতে ছেড়ে দিয়েছেন। কমিশনের (Election Commission) নির্দেশকে উপেক্ষা করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কটাক্ষ করলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা (Burdwan Durgapur Lok Sabha) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। রোজকার কর্মসূচি মতো সোমবার তিনি পূর্ব বর্ধমানের মির্জাপুরে মাঠে প্রাতঃভ্রমণে যান। এদিন প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে মমতাকে আক্রণম করে বিজেপি নেতা বলেন, ভোট হয়ে গেলেই উনি টার্গেট হন। এতদিন বাঘিনী ছিলেন এখন বিড়াল হয়ে গেছেন। তিনি কোন ভাবেই রেহাই পাবেন। যা কর্ম করেছেন তার ফল পাবেন। নেতাদেরকে চোর বানিয়েছেন, চোর লোকেদের নেতা বানিয়েছেন। এর প্রায়শ্চিত্ত নাকি করতে হবে । উনি ভাবছেন বেঁচে যাবেন কোন রাস্তা নেই। শুধু মমতা নয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Abhishek Banerjee) চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি।
সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশ কটাক্ষকরলেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতা বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপির মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত দু নম্বরী। কোন ভদ্রলোক বিজেপি করে না। উনি একমাত্র ভদ্রলোক আছে, যার বাড়ির বউ থেকে মেয়ে,চাকরবাড়কে ইডি ডাকছে, রাস্তায় সোনা নিয়ে যাচ্ছে। লোকচোর,চোর আওয়াজ দিচ্ছে, তার চৌদ্দ পুরুষ চোর। বাড়ির চাকর, বাকর কুকুর, বেড়ালো চোর। এই কালচার নিয়ে এসেছে ব্যানার্জি পরিবার। আজকেও মুখ্যমন্ত্রীকে চোর চোর শুনতে হচ্ছে ওনার জন্য। এর থেকে দুর্ভাগ্য কি হবে।
তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা বলেছেন, ওটা প্রধানমন্ত্রী নয় প্রচারমন্ত্রী। ৮ হাজার কোটি টাকার বিমানে চেপে, প্রচার করে বেড়াচ্ছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কারও বাপের টাকায় চড়ছেন নাকি? ১৪০ কোটির দেশের প্রধানমন্ত্রী তার তো বাইডেনের থেকেও দামী প্লেনে চাপা উচিত। আমারা ভিখারি পার্টি নই, ভিখারি দেশ নয়। যারা ভিখারি বানিয়েছে তারা এটা করছে। শত্রুঘ্ন সিনহা এবং কীর্তি আজাদ জানেন না বর্ধমান দুর্গাপুরে কি পরিস্থিতি আসানসোলে, এসছেন বাইরে থেকে তো, আগে পুজোর শেষে ভোটটা লড়ুন। আগে না রিটায়ার্ড হয়ে যান। টেম্পারেচার বাড়ছে, লড়াই করুন। রুটি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন , আর একজন ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না। উনারা কি রাজনীতি করবে বিজেপির সঙ্গে।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে বাড়বে তাপমাত্রা, সপ্তাহান্তে তীব্র তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত দক্ষিণবঙ্গে
রাজ্যে সরকার গড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্যে বিজেপি সরকার হবে একদিন সেটা নিশ্চিত। সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাবেন। মঙ্গলবার থেকে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থেকে শুরু মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার, কি বলবেন
উনি বুঝতে পেরেছেন , বর্ধমান দুর্গাপুরে গিয়ে টেম্পারেচার বাড়ছে , যে লড়াই হচ্ছে, ভারতবর্ষের মধ্যে সবথেকে উত্তেজনা টেম্পারেচার এখন পানাগড়ে। এটা বর্ধমান দুর্গাপুরের মধ্যে পড়ে। লড়াইটা বুঝতে পারছেন এই গরমে ঝুলছে যাকে টিএমসি। নেতারা কেউ বেরাচ্ছেন না। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে কেউ ভাবি নি, আমরা মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবি। কার নিরাপত্তা দিয়েছেন? ডজন ডজন কর্মী মারা যাচ্ছেন, নিজেরা গুলি করে মারছে , এমএলএ মারা গিয়েছে, চিআর পার্সেন, কাউন্সিলর কার মারা গিয়েছে, উনি কারও সুরক্ষা দিতে পারবেন না। উনি পার্টির লোককে বাঁচাতে পারেন না উনি বাংলার লোককে কি সুরক্ষা দেবেন। এত
দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার পশ্চিমবঙ্গে কোনদিন আসেনি এটা ইতিহাস।
অন্য খবর দেখুন