কলকাতা: কৃষ্ণনগরের রানিমাকে কড়া টেক্কা দিলেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Maitra)। কৃষ্ণনগরে ৬৫ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। খোশমেজাজে সাইকেলে চেপে ঘুরলেন সংসদীয় এলাকা। ইতিমধ্যেই বাজি ফাটিয়ে সেলিব্রেশন শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের থেকেও কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে এবার শক্তি বাড়াল তৃণমূল।
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে এবার কৃষ্ণনগর রাজ পরিবারের সদস্য অমৃতা রায়কে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেই চমক কাজে লাগল না। গণনা শুরুর প্রথম দিকে মহুয়া পিছিয়ে ছিলেন। পরে বেলা যত বেড়েছে, মহুয়ার ভোট তত বেড়েছে। পিছিয়ে পড়েন বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়।
আরও পড়ুন: বসিরহাটে তৃণমূলের হাজি নুরুল ইসলাম জয়ী রেকর্ড ভোটে
লোকসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগেই ঘুষের বিনিময় সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে মহুয়াকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে মহুয়া সংসদে সরব ছিলেন। অভিযোগ, এক ব্যবসায়ী বন্ধুর ব্যক্তিগত স্বার্থ দেখার জন্য মহুয়া ঘুষের বিনিময়ে আদানির বিরুদ্ধে সংসদে প্রায়ই প্রশ্ন করতেন। এমনকী তিনি তাঁর সংসদীয় পাসওয়ার্ড ওই বন্ধুকে দিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ওই অভিযোগে তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে সংসদে সরব হয় বিজেপি। গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। সেই কমিটি মহুয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে। কমিটির সুপারিশ সংসদে পেশ করা হয়। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়। পরে তাঁকে বহিষ্কারের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। প্রথম দিকে দল মহুয়ার পাশে না দাঁড়ালেও পরে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সমর্থন করেন। কৃষ্ণনগরে এক প্রশাসনিক সভায় লোকসভা ভোটের অনেক আগেই মমতা ঘোষণা করেন, লোকসভা ভোটে মহুয়াই প্রার্থী হবেন। সেইমতোই তিনি প্রার্থী হন। তাঁর হয়ে মমতা প্রচারেও যান। শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণনগরে শেষ হাসি মহুয়াই হাসলেন। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে পরাজিত হলেন কৃষ্ণনগর রাজ পরিবারের সদস্য অমৃতা রায়।
অন্য খবর দেখুন