skip to content
Monday, July 1, 2024

skip to content
HomeScrollসার্ভে শুরু হয়েছে, আনা হচ্ছে অ্যাপ, বৈঠক শেষে মন্তব্য ফিরহাদের
Firhad Hakim

সার্ভে শুরু হয়েছে, আনা হচ্ছে অ্যাপ, বৈঠক শেষে মন্তব্য ফিরহাদের

এক ছাতার তলায় হকাররা, মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পর তৎপর কমিটি

Follow Us :

কলকাতা:  এক মাসের মধ্যে রাস্তা ছেড়ে দিতে হবে হকারদের (Hawkers Eviction)। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর তৎপর  কলকাতা পুরসভা। একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে একমাসের মধ্যে হাতিবাগান, নিউমার্কেট গড়িয়াহাট প্রত্যেকটি এলাকায় একটি করে বিল্ডিং খুঁজে বার করার কোথাও উল্লেখ করেন তিনি। সেই নির্দেশেই শুক্রবার থেকে শহরে শুরু হকার সার্ভে। এদিন পুরসভায় ( Kolkata municipality) পাওয়ার কিমিটি বৈঠকে বসেন ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমার,  অতীন ঘোষ। বিশেষ করে প্রাথমিক ভাবে নিউ মার্কেট (New Market), গড়িয়াহাট (Gariahat) এবং হাতি বাগানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর সন্ধ্যায় ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা নিউমার্কেট এলাকা পরিদর্শনে যান। বৈঠক নিয়ে মেয়র বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ অনুযায়ী বৈঠক করেছি। বৈঠকে সবাই ছিলেন পুরদফতরের সচিব ছিলেন। আমরা সার্ভে শুরু করে দিয়েছি।

সার্ভে নিয়ে ফিরহাদ বলেন, গড়িয়াহাট থেকে সার্ভে শুরু করে দিয়েছি। এরপর হাতিবাগান, নিউ মার্কেট সহ বিভিন্ন জয়গায় সার্ভে হবে। খুঁটিয়ে দেখা হবে হকাররা আছেন কি না। একটা অ্যাপ তৈরি হচ্ছে। জিপিএস লোকেশ কোথায় আছে সেটা খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা গড়িয়াহাট এবং বেহালা তাদের মাল রাখার জায়গায় খোঁজ হচ্ছে। হাতিবাগান এখন জায়গায় পাওয়া যায়নি। আমরা কার পার্কিং এক মাস পর থেকেই পোস মেশিনের মাধ্যমে তুলব। আমরা ডিসপ্লে করে দেব কোথায় ফ্রি এবং কোনটা ফি পার্কিং আছে তার জন্য একটা বোর্ড লাগানো হবে। গড়িয়াহাট আমরা একটা সরকারি দিয়ে একটা টেন্ডার করব।

আরও পড়ুন: গড়িয়াহাটে দেবাশিস কুমার, শুরু হকার সার্ভে

শুক্রবার থেকে শুরু হল হকার সার্ভে করার কাজ। কারা বৈধ এবং কারা কারা অবৈধ ভাবে ফুটপাত দখল করে বসে আছে। তাদের তালিকা তৈরি করার কাজ শুরু হল আজ থেকে। নেত্রীর নির্দেশমতো শুক্রবার রাস্তায় নামলেন বিধায়ক তথা মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। গড়িয়াহাট ঘুরে দেখেন তিনি।

এক ছাতার তলায় থাকবেন হকাররা, মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া বার্তা পূরণে তৎপর রাজ্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। বৈঠকের পর ফিরহাদ বলেন, আজকের মিটিং ঠিক হয়েছে। একমাস পরে সার্ভে রিপোর্ট জমা দেব। আমরা কোথাও হকার উচ্ছেদ করেনি। পুলিশ ও কোথাও উচ্ছেদ করেনি। আমরা হকারদের রেগুলারিজ করা হয়েছে। যেটা ভাঙা হয়েছে সেটা সরকারি জমিতে বেআইনি ভাবে স্ট্রাকচার করা হয়েছে সেটা ভাঙা হয়েছে। ফুটপাত আমার অধিকার নয়। ফুটপাত সরকারি জায়গায়। সেটা আমার সম্পত্তি নয় যে আমি সেটা নিজের ছেলেকে দিয়ে যাব। এটাকে ভাড়া দেওয়ার আমার অধিকার নয়। যারা হ্যাকিং করছে শুধু তার অধিকার। চারটে ডালা পাঁচটা ডালা লাগিয়ে রেখেছি । একটা আইন যেটা সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নির্দেশ রয়েছে। একটা হকার চলে যাবে তার জায়গায় নতুন হকার আসবে। আমাদের হ্যাকিং জোন , নো হকিং জোন এবং নিউট্রাল জোন। আমাদের দেশে অর্থ সামাজিক উন্নয়ন হয়নি। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে যে ভাবে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। আমাকে ফুটপাত দিয়েছে বলে আমি ফুটপাত দখল করার জন্য নয়। আমরা সার্ভে করব যে কর্মচারী হ্যাকিং করবে তার দোকান হয়ে যাবে।  যারা হকারকে ভাড়া দিচ্ছে সেটা বেআইনি। আমার ছবি তুলব। অ্যাপ আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। কেউ ডালা বিক্রি করতে পারবে না। সুপ্রিয় কোর্ট হাত বদলের অধিকার কাউকে দেয়নি। আমাদের টাউন ভেন্ডিং যেতে করবে সেটা তারা করবে। হকারদের কমিটিতে কাউন্সিলররা থাকবে না। শুধু হকাররা থাকবে। আমরা পরিদর্শন করে বলেছি ৩/৫ ফুট জায়গায় রেখে বাকিটা ছেড়ে দাও। সোমবার আমরা ভেন্ডিং সার্টিফিকেট দেব। যারা কষ্ট করে বসবে। খাটবে সেটা তার অধিকার। হকার ভাড়া দেওয়ার জন্য নয়। আমি ডালা বিক্রি করতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ মন্ত্রী তার হস্তক্ষেপ সব কিছু হচ্ছে। আমি অনেকবার পুলিশকে চিঠি দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেছেন সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে। বাম আমলে সব একতরফা হয়েছে। আমাদের সারা রাত ধরে আন্দোলন করতে হয়েছে। কি অত্যাচার করেছে সেটা আপনারা জানায়েন না। আজকে কলকাতা যা সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটা রাজ্যের সমস্ত জেলায় কার্যকরী করা হবে।

দেখুন ভিডিও 

YouTube player
RELATED ARTICLES

Most Popular