কলকাতা: সবুজ ব্রিগেড (Brigade) লালে লাল। ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের (DYFI) ডাকে ইনসাফ যাত্রার (Insaf Ytara) শেষে ব্রিগেড ভরালেন বাম ছাত্র-যুবরা। সিপিএমের পক্ককেশ নেতৃত্বকে মঞ্চের নীচে বসিয়ে রেখে নবযৌবনের ডাকে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিল এই ব্রিগেড।
রবিবার ছুটির দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্র-যুবদের পায়ের ছন্দ এসে মিলে যায় ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। এদিনের ভিড় ও বক্তাদের ভাষণের বিষয় যদি দিল্লির সীতারাম ইয়েচুরিদের কানে পৌঁছয়, তাহলে ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে। কারণ, বাংলার তরুণ প্রজন্মের এই উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা দেখে চোখ কপালে উঠেছে রাজ্যের তৃণমূল এবং বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যেও। তাই সকাল থেকেই পদ্ম ফুল ও জোড়া ফুল শিবির থেকে নবযৌবনের ডাকে মানুষের এই ইনসাফ যাত্রাকে বিভিন্নভাবে ব্যঙ্গ করে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা চলেছে।
আরও পড়ুন: শাহজাহান চেষ্টা করেও বাংলাদেশ সীমান্ত পেরোতে পারেননি, বললেন সুকান্ত
লোকসভা ভোটে জোটের আসনরফা কী হবে, তা জানা নেই। ইভিএমের সংখ্যাতত্ত্ব কী হবে তাও ফলগণনায় বোঝা যাবে, কিন্তু এদিনের এই মিছিল ও সমাবেশ বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ঘণ্টায় নাড়া দিয়েছে বলে অনেক সাধারণ মানুষের মত।
ব্রিগেডের মঞ্চে সব বক্তারাই এদিন একযোগে বিজেপি এবং তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। বেকারি, দুর্নীতি, চুরি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে তাঁদের গলার স্বর কলকাতা থেকে দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পেরেছেন ছাত্র-যুব নেতারা। দেশের ঐক্য, সংহতিকে নষ্ট করা থেকে নারী নির্যাতন, মানুষের কণ্ঠস্বর রোখা পর্যন্ত সব বিষয়ে গেরুয়া ও সবুজ শিবিরকে এক কাঠগড়ায় দাঁড় করায় নেতৃত্ব। বক্তারা বলেন, এই ব্রিগেড থেকে আগামী দিনের লড়াইকে ভোটবাক্সে তুলে ধরাই হবে আমাদের মুখ্য কাজ।
আরও খবর দেখুন