কলকাতা: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শিশু নিগ্রহের (Child Abuse) অভিযোগ নিয়ে এবার সরব হল জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন (National Child Rights Commission)। যে শিশুকে ঘিরে ওই অভিযোগ, তার চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসককে। ওই শিশু এবং তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। কমিশনের আরও নির্দেশ, পরিবারটিকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যারা এই কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। জেলা প্রশাসন কী কী ব্যবস্থা নিল, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের একটি খবর উল্লেখ করে কমিশন বলেছে, ১০ ফেব্রুয়ারি একদল দুষ্কৃতী পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই শিশুর পরিবারে হামলা চালায়। বাড়িঘরে ভাংচুর চালানো হয়। শিশুটির মাকে হেনস্থা করা হয়। মায়ের কোল থেকে শিশুটিকে ছিনিয়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলা হয়। এর ফলে শিশুর অধিকার খর্ব হয়েছে। প্রসঙ্গত, বি়জেপির এক কার্যকর্তার বাড়িতে ওই হামলা হয় বলে অভিযোগ।
রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের উপর কেন্দ্র নানা দিক দিয়ে চাপ সৃষ্টি করছে। এদিনই জাতীয় এসসি কমিশন ঘটনার রিপোর্ট রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি করেছে।
আরও পড়ুন: জেলাগুলি থেকে আইন শৃঙ্খলা নিয়ে রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন
কমিশনের একদল প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি পরিদর্শন করে। জাতীয় মহিলা কমিশনও সন্দেশখালিতে এসেছিল। বিজেপির একটি সত্যানুসন্ধানী দল শুক্রবার সন্দেশখালি যেতে চেয়েছিল। ওই দলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কয়েকজন মহিলা সদস্যও ছিলেন। কিন্তু তাঁদের পুলিশ যেতে দেয়নি। তাঁদের রামপুরে আটকে দেয় পুলিশ। ওই প্রতিনিধিরা কলকাতায় ফিরে রাজভবনে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে। রাজ্যপালকে নালিশ জানানো হয় পুলিশের বিরুদ্ধে। রাজভবন থেকে বেরিয়ে বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল জানান, তাঁরা দিল্লিতেও দরবার করেবন। ঘটনার কথা রাষ্ট্রপতিকে জানাবেন।
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। এদিনই সিবিআই তদন্ত চে্য়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, মণিপুরের ধাঁচে কমিটি করে ঘটনার তদন্ত করতে হবে।
আরও খবর দেখুন