কলকাতা: মহিলা ও জুনিয়র আইনজীবীদের আইনি পেশায় আরও উৎসাহদানের জন্য জোরালো সওয়াল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (D.Y. Chandrachud)। শুক্রবার সন্ধ্যে ৬টায় কলকাতা টাউনহলে হাইকোর্টের বার লাইব্রেরি ক্লাবের ২০০ বছরপূর্তির অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রধান বিচারপতি। মানুষের আস্থা বাড়াতে বিচার ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের প্রয়োজন। অনুষ্ঠান থেকে এমনটাই বললেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। কলকাতা বার লাইব্রেরি ক্লাবের তারকাখচিত দ্বিশতবার্ষিকী পূর্তি অনুষ্ঠানে সবাইকে বাংলায় অভিবাদন জানিয়ে চার দফা আবেদন রাখলেন তিনি।
সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির কথায়, নিম্ন আদালতে বিচারের জন্য মানুষের আস্থা বাড়াতে হবে এবং এক্ষেত্রে আইনজীবীদের আরও দক্ষ ভূমিকা পালনের আর্জি জানান তিনি। দেশের জেলা পর্যায়ের বিচার ব্যবস্থায় নারী অংশগ্রহণের পরিমাণ বর্তমানে ৩৬.৩ শতাংশ। আইনি পেশায় ক্রমশ মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। কিন্তু তাদের পাশাপাশি নতুন ছেলেমেয়েদের এই পেশায় আনার জন্য বর্ষীয়ান আইনজীবীদের আরও জোরদার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলেই মত তাঁর।
আরও পড়ুন: পুকুর ভরাট করে আরএসএস ভবন! পুরনিগমের নোটিস
আইনজীবী মহলে পেশাদারী দায়িত্ববোধ আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। অকারণে মামলা দীর্ঘায়িত করার প্রবণতা ত্যাগ করা দরকার। আইনজীবীর সংগঠনের সদস্যদের মৃত্যুতে স্মরণসভা ইত্যাদির জন্য সময় নষ্ট হয়। এই ব্যবস্থা বদলানোর প্রচেষ্টা করা উচিত। অন্যান্য ক্ষেত্রের মত এই পেশাতেও টেকনোলজির আগমনকে সর্বতোভাবে স্বাগত জানাতে হবে। টেকনোলজির হাত ধরে আইনি জগতে গত কয়েক বছরের বিপুল পরিবর্তন ঘটেছে। তার সম্প্রসারণ ঘটাতে হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
অক্ষয় কুমার অভিনীত জলি এল এল বি সিনেমার প্রসঙ্গ টেনে প্রধান বিচারপতি বলেন, জলি এল এল বি একটি সিনেমা হতে পারে। কিন্তু তার আইনজীবীরা নিজেদের প্রচেষ্টা থেকেই সত্যটা সমাজের কাছে তুলে ধরে ছিল। আইনজীবীদের মধ্যে ওই খিদেটাই একজন মানুষকে সুবিচার পাইয়ে দিতে অনেক সাহায্য করবে। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, তরুণ-তরুণীদের বেশি বেশি বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে হবে। এই পেশায় নিয়ে আস্তে হবে। বাংলা-সহ এখন বিভিন্ন ভাষাতেও সুপ্রিম কোর্টে রায় দেওয়ার কথাও জানান প্রধান বিচারপতি।
দেখুন অন্য খবর: