টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। সোমবার দুপুরে সল্টলেক করুণাময়ীর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ভবনের সামনে বিক্ষোভে শামিল হন ২০১৪ সালে টেট পাশ করা হাজার খানেক চাকরিপ্রার্থী। পুলিশের সঙ্গে হয় একচোট ধস্তাধস্তি। রাতভর চলে ওই বিক্ষোভ। পুলিশ অনেক অনুনয় বিনয় করেও রাস্তা থেকে তাঁদের তুলতে পারেনি। বিক্ষোভের রেশ রয়েছে আজ মঙ্গলবারও। এদিনও শিক্ষা পর্ষদের সামনে রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেন, এদিন থেকেই তাঁরা আমরণ অনশন শুরু করলেন। কিন্তু তাঁদের এই দাবিকে ‘অন্যায্য’ বলে দেগে দিলেন সভাপতি।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে পর্ষদ সভাপতি বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবি আইনানুগ নয়। গণতান্ত্রিক দেশে আন্দোলন করার
অধিকার সবার রয়েছে। তাঁদের আবেগের প্রতি সহমর্মী আমি। কিন্তু অন্যায্য দাবি মানা যায় না। গৌতম জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে যারা আন্দোলন করছেন, তাঁরা দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েও সফল হতে পারেননি। সে কারণেই তাঁদের আবার ২০১৭ সালের প্রার্থীদের সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। সভাপতি আরও জানান, ৪০ বছর বয়স হয়ে যাওয়া প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও কোনও সাহায্য করতে পারবে না পর্ষদ। রাজ্য সরকার আইন সংশোধন করতে পারে। কিন্তু এ ব্যাপারে পর্ষদের কিছু করণীয় নেই।
চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের জেরে তাঁর অফিসের কাজ শিকেয় উঠেছে বলে অভিযোগ পর্ষদ সভাপতির। তিনি বলেন, আমি তো খাওয়ার সময় পাচ্ছি না। স্বাভাবিকভাবে কেউ অফিসে ঢুকতে বেরতে পারছি না। খাবার আনতে পারছি না। আন্দোলনকারীরা বোর্ডের কাজে বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন। রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে আন্দোলনের পেছনে। সবাইকেই ইন্টারভিউয়ে অংশ নিতে হবে।