কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service commission) অফিসের তিনতলার ঘরেই ওএমআর শিটে মুড়িমুড়কির মতো নম্বর বাড়ানো হয়েছিল বলে সিবিআইয়ের (CBI) দাবি। বৃহস্পতিবার সিবিআই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ওএমআর কেলেঙ্কারির রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টেই সিবিআই জানায়, বিভিন্ন স্তরের প্রায় ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮১৬৩ জনের নম্বরে কারচুপি করা হয়েছিল সার্ভারে। এ ছাড়া ওএমআর শিটে আরও অনেক কারচুপি হয়েছে।
সিবিআই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের ওএমআর শিট মূল্যায়নের বরাত দেওয়া হয়েছিল গাজিয়াবাদের একটি বেসরকারি সংস্থাকে। নিসা কমিউনিকেশনস প্রাইভেট লিমিটেড (NYSA Communicstions Pvt Ltd) নামে ওই সংস্থাকে কোন সূত্রে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল, তারও তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। গাজিয়াবাদে ওই সংস্থার প্রাক্তন কর্মী পঙ্কজ বনশলের বাড়ি থেকে সিবিআই তিনটি হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করে। সেগুলিতে ওএমআর শিটের স্ক্যান করা কপি এবং নম্বর ছিল। সেই তিনটি হার্ড ডিস্ক এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের ডেটাবেস পরীক্ষা করে দেখা যায়, সমস্ত ক্ষেত্রে বিস্তর কারচুপি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাড়ি প্রাপক ন্যায্য কি না দেখতে গিয়ে হেনস্তার শিকার মহিলা আধিকারিক
সিবিআই এবং মামলাকারীদের আইনজীবীর দাবি, ওই সংস্থার সার্ভার এবং কমিশনের সার্ভারের ডেটাবেসে প্রচুর গরমিল রয়েছে। সিবিআই আদালতে পেশ করা রিপোর্টে আরও জানিয়েছে, কমিশনের বিধাননগরের অফিসে বসেই সমস্ত কিছু স্ক্যান করা হয়েছিল। আইনজীবীদের দাবি, কমিশনের কর্তাদের উপস্থিতিতে যাবতীয় কারচুপি করা হয়েছে। গাজিয়াবাদ থেকে পাওয়া সমস্ত নথি কমিশনকে দিয়েছে সিবিআই।
কমিশন সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে ৪২ হাজার নিয়োগ হয়েছিল। ২০২০ সালে ১৬ হাজার ৫০০ জনের নিয়োগ হবে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। সম্প্রতি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৬ সালের সমস্ত নিয়োগ বাতিল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। ওইদিনই তিনি বলেন, ঢাকি সমেত সব বিসর্জন দিয়ে দেব।