কলকাতা: সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাষ্ট্রপতি (President) দ্রোপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) গণহারে ইমেল (Email) করে ডিএ (DA) বঞ্চনার কথা তুলে ধরবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ইতিমধ্যেই গণমেল কর্মসূচি শুরু হয়ে গিয়েছে। বকেয়া মহার্ঘ ভাতা প্রদান, সরকারি অফিসে শূন্যপদে নিয়োগ ও অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণের দাবি নিয়ে সরব সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ২৭ মার্চ গণমেল করা হবে মুখমন্ত্রীকেও। তাতে সরকারি কর্মীরা জানাবেন, ভবিষ্যতে রাজ্য অচল হয়ে পড়লেও কর্মীরা কোনও ভাবে তার জন্য দায়ী থাকবেন না।
আগামিকাল, সোমবার (Monday) রাজ্যে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু। রবিবার রাষ্ট্রপতিকে গণমেলের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা চালাবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। যদি দেখা করতে পারেন তাহলে নিজেদের দাবি তুলে ধরবেন তাঁরা, এমনটাই জানিয়েছেন মঞ্চের নেতৃত্ব। রাষ্ট্রপতি বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্যই মূলত আসছেন।
আরও পড়ুন: Ichamati River | শুরু হল ইছামতী নদী সংস্কারের কাজ
এদিকে ১০ এবং ১১ এপ্রিল দিল্লির যন্তর মন্তরে দু’দিন অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। ডিএ-র দাবিতে আগামী কয়েক সপ্তাহে একগুচ্ছ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ডিএ মেটানোর দাবিতে আগামী ৩০ মার্চ মহাসমাবেশ হবে সরকারি কর্মীদের। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, ওই দিন গণছুটি নিয়ে শিয়ালদহ এবং হাওড়া থেকে মিছিল করা হবে। সেই মিছিল গিয়ে পৌঁছবে শহীদ মিনারের ধরনা মঞ্চে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বিশ্বভারতীর বিনয় ভবন মাঠেই মঙ্গলবার নামবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হেলিকপ্টার। ইতিমধ্যে সেখানে একটি অস্থায়ী হেলিপ্যাডে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তা বজায় রাখতে তিনদিন আগে থেকেই মাঠ সংলগ্ন বাসিন্দাদের ছাদে ওঠা ও কাপড় শুকোতে দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শান্তিনিকেতনের রাস্তায় রাস্তায় রীতিমতো মাইকিং করে এ কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার থেকেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহরকে। চতুর্দিকে অসংখ্য সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। শুরু হয়েছে নজরদারিও। এর পাশাপাশি, ওই এলাকাকে নো ফ্লাইং জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। তাই এই ক’দিনের মধ্যে কেউ যদি সেখানে ড্রোন, বেলুন জাতীয় কিছু ওড়ান বা ওড়ানোর চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে প্রশাসন।