Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeআন্তর্জাতিকTaiwan: চীনা আগ্রাসনে ভীত তাইওয়ান, বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে যোগদানের মেয়াদ বাড়ছে

Taiwan: চীনা আগ্রাসনে ভীত তাইওয়ান, বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে যোগদানের মেয়াদ বাড়ছে

Follow Us :

তাইপেই: দেশের সেনাবাহিনীতে (Military) যোগ দেওয়ার বাধ্যবাধকতার (Compulsory) মেয়াদ ফের বাড়তে চলেছে তাইওয়ানে (Taiwan)। বর্তমানে তাইওয়ানে সেদেশের নাগরিকদের (Taiwanese Citizen) জন্য সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে চারমাসের বাধ্যবাধকতার মেয়াদ রয়েছে। সেই মেয়াদ ফের একবছর করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তাইওয়ান সরকার। সে দেশের এক সিনিয়র আধিকারিক এই কথা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার এবিষয়ে ঘোষণা করবেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন (Taiwan President Tsai Ing-wen)। গত রবিবার তাইওয়ানের সমুদ্রাঞ্চল এবং আকাশপথে (Taiwanese Sea and Air Space) সামরিক অভিযান চালিয়েছে চীনা মিলিটারি (Chinese Military)। তাতেই চীনা আগ্রাসনের ভয় পাচ্ছে তাইওয়ান। সেই কারণে সেদেশের নাগরিকদের জন্য সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার বাধ্যবাধকতার মেয়াদ একবছর করার কথা চিন্তাভাবনা করছে তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ (Taiwan Authority)।    

আরও পড়ুন: MGNREGA Attendance: ১০০ দিনের কাজে এবার ডিজিটাল হাজিরা

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট জাতীয় নিরাপত্তা (National Security) বিষয়ক এক বৈঠকে বসতে চলেছেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে দেশের নাগরিক প্রতিরক্ষা (Civil Defence) আরও বৃদ্ধি করতে হবে, তার জন্য ২০২৪ সালের শুরু পর্যন্ত দেশের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার মেয়ার আরও এক বছর বৃদ্ধি করা হতে পারে। চীনা আগ্রাসনের হুমকির মুখে পড়ায় তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ এখন দেশের সামরিক ব্যবস্থার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পর্যালোচনা করা হচ্ছে, ২০২০ সাল থেকে তাইওয়ানের সামরিক ব্যবস্থা কতটা জোরদার হয়েছে। 

তাইপেই বনাম বেজিং বিরোধের কারণ?

তাইপেই ও বেজিংয়ের (Taipei and Beijing) মধ্যে বর্তমান সমস্যার সূত্রপাত গত অগাস্টে তৎকালীন ইউএস হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি (U.S. House Speaker Nancy Pelosi)-র তাইওয়ান সফরের পর থেকে। তারপর থেকে চীন ক্রমাগত সামরিক হুমকি দিয়ে আসছে তাইওয়ানকে। তাইওয়ানের সার্বোভৌমত্বকে (Sovereignty) কোনওভাবেই স্বীকৃতি দিতে রাজি নয় বেজিং। বরাবরই তাইওয়ানের ভূখণ্ডকে নিজেদের বলে দাবি করে চীন (China)। এই অবস্থায় তাইপেই সম্প্রতি মার্কিন ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোয় বেজিং অখুশি হয়েছে। দুই দেশের ঝামেলার সর্বশেষ নিদর্শন হল ক্রিসমাসের দিন তাইওয়ানের ভূখণ্ডে ৪৩টি চীনা বিমান প্রবেশ করা, যাকে আগামী দিনে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি হিসেবেই দেখছে তাইপেই।  

কী বলছেন তাইওয়ানের নাগরিকরা?

তাইওয়ানের হাতে এই মুহূর্তে মোট সক্রিয় সেনার সংখ্যা ১,৭০,০০০, যা চীনের সামরিক বাহিনীর চেয়ে দশগুণ কম। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শীঘ্রই তাইওয়ানে ১ লক্ষ ছেলে প্রাপ্তবয়ষ্ক হবে। ফলে তারা সেনাবাহিনীতে যোগ দিলে মোট সেনার সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেবে। কিন্তু কী ভাবছেন তাইওয়ানের জনগণ? একটি সমীক্ষা বলছে, তাইওয়ানের ৭৩ শতাংশ জনগণ এর পক্ষে। আর ১৮ শতাংশ জনগণ এর বিপক্ষে।  

চীনে গৃহযুদ্ধের (Chinese Civil War) পর ১৯৪৯ সাল থেকে তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ একটি নিয়ম চালু করেছিল সেদেশের নাগরকিদের জন্য। নিয়োগ পদ্ধতির অঙ্গ হিসেবে দেশের প্রতিটি ১৮ বছরের পুরুষদের জন্য নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, অন্তত ২-৩ বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে। ১৯৯৬ সালে সেই মেয়াদ কমানো হয় এক বছরে এবং ২০০৮ সালে তা কমিয়ে চার মাস করা হয়। ২০২২ সালের শেষ লগ্নে এসে ফের একবছরের বাধ্যবাধকতার মেয়ার ফেরাতে চলেছে তাইওয়ান সরকার। 

RELATED ARTICLES

Most Popular