খড়গপুর: ভুয়ো ভ্য়াকসিন কাণ্ডের মধ্যেই টিকার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে খড়গপুর শহরেরর এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সহ ২ জনকে। ধৃতেরা ভ্যাকসিন দেওয়ার নামে মাথাপিছু ১১৫০ টাকা নিচ্ছিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অভিযোগের ভিত্তিতে ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রবিবার খড়গপুর শহরের এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সহ ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খড়গপুর শহরের বেসরকারি ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার নাম করে মাথা পিছু ১১৫০ টাকা করে তুলছিল। সোমবার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। অভিযোগ পাওয়ার পরই রবিবার বিকেলের পর এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পুলিশ অভিযান চালায়। সঙ্গে ছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ছিলেন মহকুমা শাসক। পুলিশ ওই সেন্টারের মালিকসহ ২ জনকে আটক করেছে। পরে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন : কোউইনের তথ্য চুরি , অভিযোগ অস্বীকার কেন্দ্রের
ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি খড়গপুরের মালঞ্চ এলাকার। টিকার নামে টাকা তোলার অভিযোগ আসে মহকুমাশাসক আজমল হোসেনের কাছে। জেলায় এখনও বেসরকারি ক্ষেত্রে এ ভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু না হওয়ায় সন্দেহ হয়। পরে স্বাস্থ্য দফতরের পুলিশকে অভিযোগ জানায়। তাতেই টাকা তোলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। টাকা নেওয়ার রসিদও সংগ্রহ করেছে পুলিশ। খড়্গপুরের মহকুমা শাসক আজমল হোসেন বলেন, সরকারের অনুমোদন ছাড়াই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ১১৫০ টাকা করে নিচ্ছিল।