হাঁসখালি: গণধর্ষণের পর মৃতদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ বুজে সহ্য করেছেন বাবা-মা। এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড় হওয়ার পর গ্রামে পুলিস-সাংবাদিকরা বারবার প্রশ্ন করছেন, সহ্য করেছেন বাবা-মা। এখন মেয়ের পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মও আটকে গিয়েছে, তাও সহ্য করতে হচ্ছে তাঁদের।
হাঁসখালি কাণ্ডে নির্যাতিতার মৃত্যুর ১০ দিন পরেও মেয়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করতে পারছেন না তার বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ, অভিযুক্তদের চাপে তাঁদের বাড়িতে কোনও পুরোহিত আসতে চাইছেন না। যার ফলে মেয়ের এরকম মর্মান্তিক পরিণতির পরেও তাঁরা তার শেষ কাজটুকুও করতে পারছেন না। এখনও পর্যন্ত এতটাই প্রভাব তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সমর গয়ালি ও তাঁর ছেলে ধৃত সোহেল গয়ালির।
আরও পড়ুন: Rajasthan Road Accident: রাজস্থানে খাদে পড়ল যাত্রীবোঝাই গাড়ি, তিন শিশু সহ মৃত ৫
হিন্দু এবং পরিবারের নিয়মমতো আজ শ্রাদ্ধানুষ্ঠান তথা পারলৌকিক ক্রিয়া হওয়ার কথা ছিল। দু’দিন আগে গ্রামেরই পুরোহিতকে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন মেয়ের বাবা। বৃহস্পতিবার পুরোহিতের বাড়িতে গেলে, তিনি আসতে রাজি হননি। নির্যাতিতার মায়ের অনুমান, পুরোহিতকেও লোকজন চাপ দিয়েছে বা ভয় দেখিয়েছে সমর গয়ালির দলবল। নির্যাতিতার বাবা শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করার জন্য সমস্ত কিছু কিনে এনেছিলেন। কিন্তু শেষমেশ আর তা হল না।
আরও পড়ুন: Lemon Theft: চাহিদা তুঙ্গে, দাম আকাশছোঁয়া, উত্তরপ্রদেশে চুরি ১০০ কেজি পাতিলেবু
এদিনই দুপুরে সেভ ডেমোক্র্যাসির ৭ জনের প্রতিনিধিদল গ্রামে আসে। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তারা। সমস্ত ঘটনা শুনেছেন প্রতিনিধিদলের সদস্য সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। পুরোহিত ও নাপিত তাঁদের বাড়িতে আসতে নারাজ শুনে স্তম্ভিত হয়ে পড়েন তাঁরাও।