কলকাতা: গরু পাচার সংক্রান্ত মামলায় কেন রাজ্য তদন্ত করবে, প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীর হয়ে আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, সিবিআই ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। সীমান্ত এলাকায় গরু পাচার নিয়ে এফআইআর-ও দায়ের করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে বিএসএফের এক আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তারা অনেক আগে থেকেই সীমান্ত এলাকায় এই ব্যাপারে তদন্ত করছে। এখন রাজ্যের তদন্তের কোনও এক্তিয়ার নেই। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ নভেম্বর।
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গত ১০ জুন গ্রেফতার করা হয়। তার আগেই পুরনো মামলায় রাজ্য পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত করে ২০১৯ সালে চার্জশিট দেয়। ১০ জুলাই রাজ্য সরকার সেই পুরনো মামলায় ফের তদন্ত করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানায়। মামলাকারীর আইনজীবী বলেন,সিবিআই দীর্ঘদিন ধরেই এই মামলার তদন্ত করছে। পরবর্তী তদন্তের দরকার হলে সিবিআইই করতে পারে। কেন রাজ্য পুলিশ হঠাৎ করে সক্রিয় হল, তা নিয়ে রহস্য আছে।
আরও পড়ুন: শিশির তুমি কার? জানতে চেয়ে ‘বড়’ অধিকারীকে ফের দিল্লিতে তলব অধ্যক্ষ বিড়লার
অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ২০১৯-এর ২৪ নভেম্বর বিএসএফের এফআইয়ের ভিত্তিতেই রাজ্য তদন্ত শুরু করেছিল। এতদিন পরে কেন এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা করা হল। এখানে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেওয়া উচিত নয়।
সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, গরুপাচার চক্রের মাথা এনামুল হক-কে গ্রেফতার করার পর সিবিআই জানতে পারে, মুর্শিদাবাদ, মালদহ জেলায় এই চক্র অত্যন্ত সক্রিয়। এই ধরনের সীমান্তবর্তী এলাকায় সিবিআই তদন্ত করছে জাতীয় স্বার্থ জড়িত রয়েছে বলে। রাজ্য সরকারই সুপ্রিমকোর্টে একটি মামলায় বলেছে, সিবিআই এ ব্যাপারে কিছু করছে না।
আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, তদন্ত স্থগিত রাখার কোনও আর্জি আমরা জানাচ্ছি না। আমরা চাই তদন্ত সিবিআই করুক। ওই অঞ্চল কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে পড়ে। তাই সিবিআইয়েরই তদন্তের এক্তিয়ার রয়েছে।