কলকাতা: ২১ জুলাই রাজ্য জুড়ে বিডিও অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার কলকাতায় বিজেপির মহামিছিলের মঞ্চ থেকেই শুভেন্দু ঘোষণা করেন, রাজ্যের যেখানে যেখানে বিডিওরা ভোট লুঠ করেছে, কারচুপি করেছে সেখানে সেখানে দলের কর্মীরা বিডিও অফিস ঘেরাও করবে। এদিন তাঁর সঙ্গে মঞ্চে দেখা গিয়েছে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে জেলায় জেলায় মনোনয়নে বাধা, ভোট লুঠ, বোমাবাজি, খুনোখুনি কোনও কিছুই বাদ যায়নি। বিরোধীরা বার বার অভিযোগ তুলেছে ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। এই সব অভিযোগ তুলে বুধবার প্রতিবাদ মিছিল করেছে বিজেপি। কলকাতা পুলিশ মিছিলের অনুমতি না দিলেও সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপের নেতৃত্বে মিছিলকে পুলিশ আটকায়নি। বলা যায় তাদের একপ্রকার সহযোগীতা করেছে পুলিশ। রাজ্যের ভোট ঘিরে শাসকদলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। ভোট নিয়ে শাসকদল ও রাজ্য নির্বাচনের কমিশনের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধীরা। এর থেকে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে শাসকদল তৃণমূল। অন্যদিকে আর একদিন পরই ২১ জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবস। এইদিন বিপুল পরিমাণ জমায়েত হবে ধর্মতলা চত্বরে। সেদিকে নজর রেখেই এদিন বিজেপির মিছিলে কোনও রকমের বাঁধা দেয়নি পুলিশ, মত রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন: All Party Meeting | সংসদে মণিপুর নিয়ে আলোচনায় রাজি মোদি সরকার
বৃহস্পতিবার থেকেই সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হয়ে যাবে। অধিবেশনে যোগ দেবেন সুকান্ত ও দিলীপ। শুক্রবার বিডিও অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি শুভেন্দুর নেতৃত্বে হবে বলে খবর বিজেপি সূত্রে। মিছিল শুরুর আগে শুভেন্দু বলেন, আগামী শুক্রবার ২১ জুলাই যেখানে যেখানে ভোটে সন্ত্রাস ও কারচুপি হয়েছে সেই সব জায়গায় বিডিও অফিস ঘেরাও করা হবে। ত্রিস্তরীয় ভোট ত্রিস্তরীয় লুঠ হয়েছে এবং এরই প্রতিবাদে শাসকদলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে কর্মীদের পথে নামার ডাক দিলেন শুভেন্দু। সুকান্তও শুভেন্দুর সুর মিলিয়ে একই কর্মসূচির ডাক দেন। তিনি বলেন, যদি গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হয় তাহলে এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মাঠে নামতে হবে। আমাদের লড়াই এখান থেকেই শুরু হচ্ছে। সকলকে এই লড়াইয়ে নামার আহ্বান জানাচ্ছি, বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
ভোট-লুঠের অভিযোগ তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, সরকারি ক্ষমতাকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার লুঠ করা হয়েছে এই পঞ্চায়েত ভোটে। বিডিও-র নেতৃত্বে ভোট লুঠ হয়েছে। ওসি ভোট লুঠে সাহায্য করেছে। বুথে বুথে আমাদের কর্মীরা মার খেযেছে। যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে সেই সমস্ত ওসি, বিডিও-দের চাকরি খেয়ে আমরা ভিখারি করে ছাড়ব, হুঁশিয়ারির সুরে বলেন দিলীপ।