কলকাতা : হাতে মাত্র আর একটা দিন। তারপরেই ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে হাইভোল্টেজ উপনির্বাচন। এই ভোটে প্রধান দুই প্রতিপক্ষ হলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। সময় যত গড়াচ্ছে এখানে উত্তেজনার পারদ ততই বাড়ছে। ভোটের দিন যে কোনো রকমের গোলমাল সামাল দিতে পুলিশ বাহিনীর নেতৃত্বে থাকছেন ১৪ জন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার, ৫ জন যুগ্ম নগরপাল এবং ১৪ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার। থাকছে আঁটোসাঁটো পুলিশি ব্যবস্থা।
এই বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আওতাভুক্ত ৯টি থানার ওসি, ডিসি, যুগ্ম নগরপাল এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দের নিয়ে লালবাজারে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরে ফেলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। ভোটের দিন সকাল থেকে পুরো পুলিশ বাহিনীর নেতৃত্বে থাকবেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরী।
ইতিমধ্যেই ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়ে গিয়েছে নাকা চেকিং। বহিরাগত কোন লোক কিংবা গাড়ি ঢুকলেই তাদের পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই কেন্দ্রে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে কয়েক লক্ষ হিসাব বহির্ভূত টাকা। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ২৪৭। ভোট প্রাঙ্গণ হল ৯৮।
আরও পড়ুন – দুয়ারে ভবানীপুর ভোট, বৈঠকে লালবাজারের শীর্ষ কর্তারা
ইতিমধ্যেই সমস্ত বুথকেই অতি স্পর্শকাতর ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এই কেন্দ্রের নির্বাচনী আধিকারিক হলেন অবনীন্দ্র সিং। রিটার্নিং অফিসার হলেন শংকর প্রসাদ পাল। ভবানীপুর কেন্দ্রের জন্য অবজারভার করা হয়েছে ভাস্কর জ্যোতি শর্মাকে। পুলিশ অবজারভার হলেন নির্মল কুমার আজাদ।
আরও পড়ুন – ভবানীপুর জেতার পর অন্য রাজ্যেও যাব, দেশ ছাড়া করব বিজেপিকে: মমতা
ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে নোডাল অফিসার করা হয়েছে যুগ্ম নগরপাল (ইন্টেলিজেন্স) দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যুগ্ম নগরপাল (ক্রাইম) মুরলীধর শর্মাকে। ভবানীপুর কেন্দ্রে ভোটের দিন ৯টি থানার অফিসাররা ছাড়াও থাকছে অতিরিক্ত ২৩টি আরটি মোবাইল ভ্যান, ৯টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড,১৩টি কুইক রেসপন্স টিম, ২২টি সেক্টর মোবাইল। ৩৮ এলাকায় থাকছে পুলিশ পিকেট। কলকাতা পুলিশ ছাড়াও ভোটের দিন গোলমাল সামাল দিতে এবং শান্তিতে ভোট করাতে সকাল থেকে রাস্তায় থাকবে ৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।