পাহাড়ের মাঝে বিশালাকার গুহা। গুহার ভিতরে রয়েছে ছোট ছোট কুঠুরি। মনে করা হচ্ছে, আদিম মানুষের বসবাস ছিল গুহায়। খোঁজ পাওয়া গেল এই বাংলায়! তবে গুহাটি কত দিনের প্রাচীন তা জানা যায়নি। বাঁকুড়ার খাতড়ার পোড়া পাহাড়ে এই গুহায় লুকিয়ে রয়েছে অনেক অজানা ইতিহাস, মনে করছে স্থানীয় মানুষ।
পোড়া পাহাড়ে যে এই গুহা রয়েছে তা জানা থাকলেও এলাকায় মানুষের তেমনভাবে দেখার সুযোগ হয়নি। পাহাড়ের একেবারে মধ্যভাগে গুহার কাঠামো দেখে আদিম মানুষের বসবাস ছিল বলে মনে করছেন এলাকার মানুষজন। গুহাটি ২০০ ফুট লম্বা। তার মধ্যে রয়েছে সাতটি কুঠুরি। গুহার গঠন দেখে স্থানীয় মানুষের অনুমান এখানে আদিম মানুষের বসবাস ছিল৷ ঝড়-বৃষ্টিসহ প্রকৃতির নানা দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতেই পাহাড়ের মধ্যে গুহাতে ছোট ছোট পরিবার নিয়ে বসবাস করত আদিম মানুষ মনে করছেন এলাকার মানুষজন। পাথর কেটে কেটে এই গুহা নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে এটি কত প্রাচীন তা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন:Jangalmahal: জঙ্গলমহলে সক্রিয় গরুপাচার চক্র, অপরাধ আটকাল তৃণমূল নেতৃত্ব
বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে একাধিক ঘন জঙ্গলঘেরা পাহাড় রয়েছে। তবে সেই পাহাড়ের মধ্যে কী আছে না আছে তা জানার বা দেখার সুযোগ তেমনভাবে হয়নি অনেকের। একটা সময় পাহাড়ের জঙ্গলে বিপ্লবীদের গোপন ডেরা ছিল যেখানে তাঁরা আত্মগোপন করতেন, বৈঠক প্রশিক্ষণ নিতেন সে ইতিহাস আগেই জানা গেছে। তবে পোড়া পাহাড়ের গভীর গুহা মূলত আদিম মানুষের বসবাসের ঠিকানা বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। তবে এখানে বিপ্লবীদের ডেরা ছিল কি না বা তাদের আস্তানা ছিল কি না তা জানার চেষ্টা চলছে।