নয়াদিল্লি: সবার চোখ এখন কী করে নির্বাচন কমিশন তার উপর। এখন প্রশ্ন নির্বাচন কমিশন কী দ্রুত কেরলের (Kerala) ওয়েনাড়ে (Wayanad) নির্বাচন (Election) ঘোষণা (Anouncement) করবে? ২৪ মার্চ লোকসভার সচিবালয় (Loksava Secretariat) কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সদস্যপদ (Membership) খারিজ করেছে। ফলে তিনি এখন আর সাংসদ নন। তিনি কেরলের ওয়েনাড় থেকে গত লোকসভা ভোটে জিতেছিলেন। এই বিষয়ে নানা বিতর্ক (Debate) শুরু হয়েছে।
সাম্প্রতিক উদাহরণের দিকে তাকানো যাক। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) এক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করার কথা। লাক্ষাদীপের সাংসদ পিপি মহম্মদ ফয়জলের ক্ষেত্রে এক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণা হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। ১৮ জানুয়ারি সেখানে নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে আজম খানের ক্ষেত্রে রামপুর কেন্দ্রে ৫ নভেম্বর নির্বাচন ঘোষণা হয়েছিল। ২৭ অক্টোবর তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হয়। আজম খানের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ঘোষণা করেছিল। তাতে সুপ্রিম কোর্ট অপেক্ষা করতে বলে। কারণ আজম খান উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন। সে কারণে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচন স্থগিত রাখে। অ্যাডিশনাল সেশন কোর্ট আজম খানের আবেদন বাতিল করার পর তবে নির্বাচন ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: Amitabh Bachchan | শীঘ্রই কাজে ফিরছেন অমিতাভ
প্রাক্তন লোকসভা সেক্রেটারি জেনারেল পিডিটি আচারি বলেন, নোটিফিকেশন অনুযায়ী রাহু গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। তার মানে এটা নয় ওয়েনাড় কেন্দ্র ফাঁকা পড়ে রয়েছে। যখন কেন্দ্রটি ফাঁকা ঘোষণা করা হবে তারপরই সেখানে নির্বাচন ঘোষণা করা যায়। লোকসভার সচিবালয়ের এক প্রাক্তন আধিকারিক বলেন, সাংবিধানের আর্টিকল ১০৩ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি পদ খারিজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। নির্বাচন কমিশনকে জানায়। সেক্ষেত্রে লোকসভা সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করতে পারেন রাহুল গান্ধী। এদিকে সুরাতের একটি আদালত মানহানি ফৌজদারি মামলায় রাহুল গান্ধীকে দুবছরের সাজা দিয়েছে। সেই ঘটনার পরে শুক্রবার লোকসভার সচিবালয় রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ খারিজ করেছে। তা নিয়ে দেশজুড়ে হইচই শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেস কর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি অবশ্য বলেন, তিনি প্রশ্ন করছেন বলেই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করা হচ্ছে। এতে তাঁকে দমানো যাবে না। বিজেপি অবশ্য নিজেদেরকে এর মধ্যে জড়াতে চাইছে না। তাঁরা বোঝাতে চাইছে এতে দলগতভাবে তাঁদের কোনও হাত নেই।