Manipur Updates | মণিপুরে মায়ানমার সীমান্ত গ্রামে অমিত শাহ, জনগণের কাছে শান্তির আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর

ইম্ফল: অশান্ত মণিপুর সফরে গিয়ে বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া রাজ্যের হিংসাদীর্ণ দুই জেলায় যান। সেখানে বিভিন্ন গোষ্ঠীর সংগঠনের সঙ্গে শান্তি বৈঠক করেন তিনি। টেঙ্গনোপাল এবং কাঙ্গকোপকি জেলার মোরে শহরে গিয়েছিলেন শাহ। সাম্প্রতিক সংঘর্ষে এই দুই জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। গত দুদিনে শাহ অন্তত কয়েক ডজন বৈঠক করেছেন। অন্যদিকে, এদিনই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এক বিবৃতিতে সাধারণ মানুষের কাছে শান্তিরক্ষার আবেদন জানিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, সকলে যেন আইনশৃঙ্খলা মেনে চলেন। বেশ কিছু জায়গায় কার্ফু উপেক্ষা করে রাস্তা অবরোধ করা হচ্ছে। তাতে নিরাপত্তাবাহিনীর যাতায়াত এবং ত্রাণকার্য বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, রাস্তা অবরোধ চলতে থাকলে ত্রাণ শিবিরগুলিতে যথাসময়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা পৌঁছতে পারবেন না। ওষুধ, খাবার, দুধ ও জল পৌঁছে দেওয়া যাবে না। সেখানে যেসব প্রসূতি মহিলা ও শিশু রয়েছে তারা অভুক্ত থেকে যাবে। শুধু তাই নয়, উপদ্রুত এলাকায় সময়ে নিরাপত্তা বাহিনীও যেতে পারছে না বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন বীরেন সিং।

আরও পড়ুন: Chinese Deep Borehole | পৃথিবীর বুক ফুঁড়ে কুয়ো খুঁড়ছে চীন, পাগলা দাশুর মতো আচরণের কারণ কী?

মুখ্যমন্ত্রী থানা এবং পুলিশ কর্মীদের কাছ থেকে ছিনতাই করা অস্ত্রশস্ত্র সমর্পণ করার আবেদনও করেছেন। যারা হিংসাত্মক আচরণে লিপ্ত রয়েছে, তাদের আত্মসমর্পণের ডাক দিয়েছেন বীরেন সিং। তা না হলে যার কাছে ওরকম অস্ত্র পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আবেদনে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

অন্যদিকে, মায়ানমারের টামু শহরের ঠিক উল্টোদিকে অবস্থিত পৃথিবীর প্রাচীনতম বাণিজ্যপথের অন্যতম মণিপুরের মোরে শহরে বৈঠক করেন শাহ। এখানে ভারত-মায়ানমারের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে একটি সেতুও আছে। শান্তি আলোচনায় শাহ মেইতি এবং কুকিদের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়াও বহু তামিল, নেপালি, রাজস্থানি, বাঙালি এবং পঞ্জাবি এই এলাকায় বসবাস করেন। তাঁদের প্রতিনিধির সঙ্গেও কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।