কলকাতা: বৃহস্পতিবার থেকে উপাচার্যহীন (Vice Chancellor) রাজ্যের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় (Universities) । ২৮ মে ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছে। বুধবার আরও ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয়ে গেল। তার উপর কলকাতা ও দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছে আগেই। সব মিলিয়ে রাজ্যের প্রায় সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই এই মুহূর্তে উপাচার্যহীন। এরই মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস (Suranjan Das) একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Private University) উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন। তাঁরও কার্যকালের মেয়াদ ২৮ মে শেষ হয়ে গিয়েছে।
রাজভবন সূত্রের খবর, এদিন রাজ্যপাল (Governor) সিভিআনন্দ বোস (CV Ananda Bose) বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ অধ্যাপককে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে রাজ্যপাল তথা আচার্যের কী কথা হয়েছে, তা অবশ্য জানা যায়নি। প্রথা অনুযায়ী, উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে রাজ্যপালের কাছে উপাচার্যের নাম পাঠানো হয় সম্মতির জন্য। সেই নামেই সম্মতি দেন আচার্য। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজভবনের তরফে উপাচার্য নিয়োগে কোনও সবুজ সংকেত মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এদিন থেকেই কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে পড়ল। তারই মধ্যে কল্যাণী, বর্ধমান, বাঁকুড়া, বিদ্যাসাগর সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ অধ্যাপকদের সঙ্গে এদিন রাজ্যপাল দীর্ঘ বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: Tourist Spot | এই পাহাড়ি গ্রামে গেলেই মন ভালো হয়, কেন জানেন?
শিক্ষা মহলের মতে, এই ঘটনা নজিরবিহীন। একসঙ্গে এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নেই, এমন দৃষ্টান্ত শেষ কবে দেখা গিয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না প্রবীণ শিক্ষাবিদরা। শিক্ষা মহলের একাংশ মনে করছে, রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাতের কারণেই এই নজিরবিহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মূলত, উচ্চশিক্ষার প্রশ্নে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। রাজ্যপাল উপাচার্যদের পঠনপাঠন এবং আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সাপ্তাহিক রিপোর্ট রাজভবনে পাঠাতে বলেই নবান্নের বিরাগভাজন হয়েছেন। গত ৪ এপ্রিল রাজ্যপাল উপাচার্যদের উদ্দেশে ওই নির্দেশিকা জারি করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত গুটিকয়েক ছাড়া কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ই সাপ্তাহিক রিপোর্ট রাজভবনে পাঠায়নি। দিন কয়েক আগে রাজ্যপাল ৪ এপ্রিলের নির্দেশিকার স্মরণ করিয়ে দিয়ে ফের উপাচার্যদের চিঠি দেন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্যপালের ৪ এপ্রিলের নির্দেশিকা প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছিলেন। এমনকী খোদ মুখ্যমন্ত্রীও এ ব্যাপারে উষ্মাপ্রকাশ করেন।