Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeআন্তর্জাতিকJinping to visit Russia | জিনপিং-পুতিন সাক্ষাৎ আগামী সপ্তাহে, কী ঘটতে চলেছে...

Jinping to visit Russia | জিনপিং-পুতিন সাক্ষাৎ আগামী সপ্তাহে, কী ঘটতে চলেছে আন্তর্জাতিক সমীকরণ?

Follow Us :

বেজিং: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) আবহেই প্রায় চার বছর পর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Chinese President Xi Jinping) আগামী সপ্তাহে মস্কো (Moscow) যাচ্ছেন। বেজিংয়ের (Beijing) বিদেশ মন্ত্রক শুক্রবার একথা জানিয়েছে। মন্ত্রকের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (President Vladimir Putin) আমন্ত্রণে রাশিয়া সফরে যাবেন জিনপিং। সরকারি সফরে তিনি ২০-২২ মার্চ মস্কোয় যাবেন।

জিনপিং এর আগে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন ২০১৯ সালে। তবে গতবছর বেজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন পুতিন। এরপর গত সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানে আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক বৈঠকে দুজনের সাক্ষাৎ হয়েছিল। দুই রাষ্ট্রনেতার এই সাক্ষাতে কৌশলগত সহযোগিতা বিষয়ক আলোচনা হবে বলে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: Nobel Peace Prize | মোদির নোবেল পাওয়ার জল্পনা ভুয়ো, জানালেন খোদ অ্যাসলে তোজে

ক্রেমলিন সূত্রে জানা গিয়েছে, জিনপিং-পুতিন বৈঠকে দুদেশের বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব, আন্তর্জাতিক মঞ্চে বোঝাপড়া বা সমঝোতা নিয়ে কথা হওয়ার কথা। এছাড়াও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে এই পর্বে। উল্লেখ্য, ইউক্রেনের মাটিতে রাশিয়ার হানাদারির বছরখানেক পর মিলিত হতে চলেছেন দুই নেতা।

চীন ও রাশিয়া এমনিতেই বন্ধুদেশ। দুদেশই বরাবর সীমাহীন সহযোগিতার ব্যাপারে সম্মত। জিনপিং রাশিয়া গেলে সেখান থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন একটা গুজব রটেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে বেজিংয়ের বিদেশ মন্ত্রক কোনও নিশ্চয়তা দেয়নি।

চীনের বিদেশমন্ত্রী এর আগেই ইউক্রেন এবং রাশিয়াকে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেন। চীনা বিদেশমন্ত্রী কিউন গ্যাং ইউক্রেনীয় বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবাকে ফোন করে বলেন, আমরা আশা করি দুপক্ষই শান্তি, সুস্থিতি, সংযম বজায় রেখে চলবে। আঞ্চলিক ও রাজনৈতিক শান্তির পরিবেশ বজায় রাখতে এটা অত্যন্ত জরুরি।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসন (Russian Invasion in Ukraine) এক বছর অতিক্রান্ত হয়েছে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মহলে রাশিয়ার বিরোধী পক্ষ হিসেবে পরিচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (Unites States of America) স্বাভাবিকভাবেই ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে। আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, রাশিয়ার (Russia) পাশে দাঁড়াতে পারে চীন (China)। শুধু তাই নয় তারা অস্ত্র সাহায্যও দিতে পারে। রাশিয়া-চীন আঁতাঁত (Russia-China Nexus) রুখতে আমেরিকা তার বন্ধুদেশগুলিকে এই নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে চীন যদি রাশিয়াকে সামরিক সহায়তা (Military Support) দেয়, তাহলে বেজিংয়ের (Beijing) উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা (New Sanctions) চাপাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 

এই অবস্থায় তারা যদি রাশিয়ার পাশে দাঁড়ায়, তাহলে আন্তর্জাতিক মহলে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের বন্ধুদেশের বিপক্ষে বলে ধরা হবে। আবার রাশিয়াকে সহায়তা করা থেকে বিরত থাকলে, পরোক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়াচ্ছে বলেও বার্তা যাবে মস্কোর কাছে। আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে কোনও রকম নিন্দা করা থেকে নিজের গা বাঁচিয়েছে চীন। 

RELATED ARTICLES

Most Popular