কলকাতা: বিভাস অধিকারীর (Bibhas Adhikari) ১৮ নম্বর কার্তিক বোস লেনের ফ্ল্যাটে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directoret)। দুপুর ১টা নাগাদ ইডি (ED) আধিকারিকরা অ্যাপার্টমেন্টের চারতলায় হানা দেন। তবে এই প্রথম নয়, এই ফ্ল্যাটে এর আগেও একাধিকবার তল্লাশি চালাতে এসেছেন তাঁরা। ফ্ল্যাটের দরজায় রয়েছে ইডির একাধিক পুরনো নোটিস। পাড়াপড়শি সূত্রে খবর, এখানে প্রায়ই আনাগোনা ছিল বিভাসের। এদিন তাঁকে সঙ্গে নিয়েই ফ্ল্যাটে হানা দিল ইডি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) মামলায় অভিযুক্ত হুগলির যুব তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) মুখে শোনা গিয়েছিল এই বিভাস অধিকারীর নাম। কুন্তল এই মুহূর্তে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মুখে উঠে আসে এই বিভাসের নাম। বীরভূমের (Birbhum) নলহাটির বাসিন্দা বিভাস অধিকারী। তিনি এক সময় তৃণমূলের স্থানীয় সম্পাদক ছিলেন। তবে এখন সেখান থেকে সরে এসে একটি কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। প্রসঙ্গত, গতকালই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে ডাকা হয়েছিল বিভাসকে।
আরও পড়ুন: TMC Inner Clash: কদম্বগাছিতে দিদির দূত নিয়ে কোন্দল তৃণমূলে, ইস্তফা ২৪ পঞ্চায়েত সদস্যের
বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা বিভাস। বেশ কিছু বিএড এবং ডিএলএড মলেজের সঙ্গে যুক্ত তিনি। ইডির তদন্তে প্রকাশ, ওই সব কলেজের বেশ কিছু পড়ুয়াকে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষা টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই সংক্রান্ত লেনদেনও চলত এই ১৮ নম্বর কার্তিক বোস লেনের ফ্ল্যাটে বসেই, দাবি ইডির।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূলের সভাপতি বিভাস অধিকারীকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) মুখে তাঁর নাম শোনা গিয়েছিল। এমনকি গত দুদিন আগেও গোপাল দলপতি প্রশ্ন তুলেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন বিভাস অধিকারীকে ডাকা হচ্ছে না?