Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeকলকাতাRecruitment Scam | নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ শান্তনুর চ্যাট উদ্ধার

Recruitment Scam | নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ শান্তনুর চ্যাট উদ্ধার

Follow Us :

কলকাতা:  শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) পার্থ শান্তনুর যোগ ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। ইডি শুক্রবারই জানিয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতিতে মাস্টারমশাই। আর শান্তনুরা ছাত্র। মাস্টারমশা্ইয়ের দেখানো পথ অনুসরণ করেছে শান্তনুরা। বলাগড়ে তৃণমূলের প্রাক্তন যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Shantanu Bandyopadhyay) সঙ্গে এবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) কথোপকথনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার করা হল। ইডি (ED) সূত্রে রবিবার এই খবর জানা গিয়েছে। 

জানা গিয়েছে, শান্তনুর ফোন থেকে উদ্ধার হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharjee), প্রাক্তন যুব নেতা কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) সঙ্গে চ্যাট। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ চ্যাট উদ্ধার হয়েছে শান্তনুর ফোন থেকে। শান্তনুর ফোন থেকে ডিলিট হওয়া আর কী কী চ্যাট (Chat) উদ্ধার? এ ব্যাপারে ইডি মুখ খোলেনি। তবে ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিশেষ করে শান্তনু কুন্তলের একাধিক কথোপকথন ধরা পড়েছে। এ ব্যাপারে হদিশ মিলেছে দফায় দফায় কুন্তলের মেসেজ শান্তনুকে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত ওই মেসেজই হাতিয়ার তদন্তকারী সংস্থার। কী ছিল সেই মেসেজে? ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, কোন চাকরি প্রার্থী কত টাকা দেবে তার তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। মেসেজ করে দ্রুত সেই তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হত। দেখা গিয়েছে যে মেসেজ পাঠানো হয়েছে তাতে চাকরি প্রার্থীদের নাম এবং টাকার অঙ্ক লেখা। কুন্তল মেসেজ করতেন শান্তনুকে। শান্তনু সেই মেসেজ আরও উপর মহলে পাঠাতেন। কথোপকথেনর চ্যাট অনুযায়ী, কুন্তলের সেই মেসেজ শান্তনু ফরোয়ার্ড করেছিল মানিক ভট্টাচার্যকে। তারপরে মেসেজে ক্যান্ডিডেটদের চাকরির সুপারিশ করেছে শান্তনু। এখানেই শেষ নয়। হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথন মিলেছে শান্তনুর সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।

আরও পড়ুন: DPL Housing | ডিপিএল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র আবাসন ভেঙে ফেলা শুরু করল কর্তৃপক্ষ 

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ক্রমশ প্রভাবশালী যোগ স্পষ্ট হচ্ছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যাকে গ্রেফতার করা হয়। শিক্ষা দফতরের এক ঝাঁক কর্তা গ্রেফতার হয়েছেন। ইডির বক্তব্য, ক্রমশ তারা সোনার খনিতে প্রবেশ করছেন। যার পরিধি অনন্ত। কোটি কোটি টাকার খেলা হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে। তারই তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করছে ইডি। শান্তনুকে জেরার পর তার ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে অনেক তথ্য প্রমাণ উদ্ধার হয়েছে। তার বাড়ি থেকে পরীক্ষার ওএমআর শিট উদ্ধার হয়েছে। এমনকী পুরসভার নিয়োগের নথিও উদ্ধার হয়। তাতেই মনে করা হচ্ছে নিয়োগের জাল ছড়িয়ে রয়েছে অন্যত্রও। পুরসভাতেও বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। 

 

RELATED ARTICLES

Most Popular