বীরভূম: চিকিৎসা করাতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী ও ডাক্তারের হাতে বেধড়ক মার খেতে হল আট বছরের এক ছোট্ট শিশুকে (Child)। কাঠগড়ায় খোদ সরকারি হাসপাতাল (Government Hospital)। শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) সুভাষপল্লীর বাসিন্দা আট বছরের ছোট্ট শিশু আরমান আনসারী। খেলতে গিয়ে তার কানে একটি পাথরের টুকরা ঢুকে যায়। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। হাসপাতালে ওই শিশুটির চিকিৎসাও শুরু হয়। হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়ে শিশুটির কান থেকে পাথর বের করার সময় চিৎকার করে ওঠে। সেই অপরাধে ওই ছোট্ট শিশুকে মারধরের অভিযোগ (Allegation ) উঠল স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে।
ওই শিশুর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের অপারেশন টেবিলে কান থেকে পাথর বের করতে গেলে চিৎকার করে শিশুটি। চিৎকার করার অপরাধে শিশুটিকে চড় থাপ্পর মারে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসারত এক ডাক্তার। স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকের এই অমানবিক আচরণে শিশুটির পরিবার দ্বারস্থ হয় বোলপুর থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বোলপুর থানার পুলিশ। শিশুটির পরিবারের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:DPL Housing | ডিপিএল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র আবাসন ভেঙে ফেলা শুরু করল কর্তৃপক্ষ
এর আগেও একাধিকবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। গত বছরেই জ্বর ও খিঁচুনি নিয়ে এক ছাত্রকে এই হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। ভর্তি হওয়ার পরদিনই ভোর বেলা ওই ছাত্র মারা যায়। ওই কিশোরের মৃত্যুর পরেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, ওই ছাত্র ভর্তি হওয়ার পর কেবলমাত্র একবার চিকিৎসক এসেছিলেন রোগীকে দেখতে। এরপর তাকে দেখতে আর কেউ আসেননি। দীর্ঘক্ষণ ধরে চিকিৎসার অভাবে ওই ভাবে পড়ে থাকার পরই তার মৃত্যু হয়।