ইস্তানবুল: ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৬। মধ্য তুরস্কের এই ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। তবে সোমবার ভোরের ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত অন্তর ৪ হাজার প্রাণহানি ঘটেছে।
অন্যদিকে তুরস্ক (Turkey) ও সিরিয়ায় (Syria) ভূমিকম্পে (Earthquake) মৃতের সংখ্যা ৪০০০ ছাড়াল। আহতের সংখ্যা আরও কয়েক হাজার। মঙ্গলবার ভোররাতে ভারতের (India) প্রথম উদ্ধারকারী ও ত্রাণসাহায্য নিয়ে একটি দল রওনা দিয়েছে। সেই দলে এনডিআরএফের (NDRF) উদ্ধারকারী বাহিনী, প্রশিক্ষিত কুকুর, ওষুধপত্র, ড্রিলিং মেশিন ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী রয়েছে।
আরও পড়ুন: World’s Deadliest Earthquakes: কবে, কোথায় ভূমিকম্পে কতজনের প্রাণহানি হয়েছিল জানেন কি?
তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত এলাকা এখন পরিত্যক্ত শহরের চেহারা নিয়েছে। ধসে পড়া বাড়িঘর সরিয়ে উদ্ধারকাজ ও তল্লাশি চলছে। তবে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে জীবন্ত প্রাণের হদিশ মেলা প্রায় অসম্ভব। অনেকেই এখনও তাঁর প্রিয়জনের খোঁজ পাননি। এই অবস্থায় ভারতসহ বিশ্বের বহু দেশ তুরস্ক ও সিরিয়ায় খাদ্য, শিশুখাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসক দল পাঠিয়েছে।
গার্ডিয়ান পত্রিকা জানিয়েছে, তুরস্কে অন্ততপক্ষে ২৯২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে, সিরিয়ায় ১৪৪৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এরপরেও মৃত্যুমিছিল দীর্ঘ হতে পারে বলে আশঙ্কা। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এর্দোগান এই বিধ্বংসী ভূমিকম্পে গণমৃত্যুতে ৭ দিনে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) এক পদস্থ বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিকের অনুমান, মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়াতে পারে।
সংবাদ সংস্থা এএফপিকে ক্যাথারিন স্মলউড বলেন, থেকে থেকে বাড়ি ধসে পারতে পারে। কারণ, ভূগর্ভস্থ মাটির স্তর সরে গিয়েছে। ফলে কোথায়, কখন বাড়ি ভেঙে পড়বে তা কেউ জানে না। এছাড়াও যতটুকু উদ্ধারকাজ চলেছে, তার থেকেও বেশি খোঁড়াখুঁড়ি হলে, আরও দেহ বেরিয়ে আসবে।