কলকাতা: এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য রাজনীতি (Politics)। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি সহ একাধিক শিক্ষাকর্তা এই কেলেঙ্কারিতে জেল খাটছেন। স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের (Candidate) বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এরকমই ১০ টি সংগঠন যৌথ মঞ্চ তৈরি করেছে। সেই মঞ্চের উদ্যোগেই বুধবার শহরে মহামিছিল হল। এর ফলে কলকাতার (Kolkata) বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক যানজট হয় বেশ কিছু সময়ের জন্য। এদিন এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ মীরাতুন নাহা। পাশাপাশি এদিন চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনকে সংহতি জানান নাট্য কর্মীরা। ধর্মতলার সমাবেশ মঞ্চের সামনে চলে নাটকও।
প্রসঙ্গত, এই মহামিছিলের জন্যও আদালতের দ্বারস্থ হতে হয় বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চকে। তারা আগে ১৬ জানুয়ারি মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলা এবং জি ২০ সম্মেলনের যুক্তি দেখিয়ে পুলিশ মিছিলের অনুমতি দেয়নি। মঞ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়। কলকাতা হাইকোর্টও ১৬ তারিখের বদলে অন্য কোনও দিন মিছিলের আয়োজন করতে বলে। সেইমতো এদিন মহামিছিল করে চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চ।
আরও পড়ুন: Mid-day Meal: চিকেন খাওয়ানোর দিন স্কুল বন্ধ, মিড ডে মিলে পুকুর চুরির অভিযোগ
বুধবারের দুই মিছিলেই ভিড় হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। হাতে বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড, পোস্টার নিয়ে হাজার হাজার যুবক-যুবতী শামিল হন মিছিলে। তার জেরে ব্যপক যানজট হয়। হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশন থেকে দুই মিছিল রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে এসে শেষ হয়। সেখানে সমাবেশে মীরাতুন নাহারের মতো অনেক বিশিষ্টজন ভাষণ দেন। আন্দোলনকারীদের প্রতি সংহতি জানাতে নাট্যকর্মীরা সমাবেশ মঞ্চে নাটকও পরিবেশন করেন। চাকরি প্রার্থীরা জানান, নিয়োগ না পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন জারি থাকবে। এই মুহূর্তে ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তি এবং মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে চাকরিপ্রার্থীদের লাগাতার অবস্থান আন্দোলন চলছে।
নিয়োগ দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে শাসকদলের বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ইতিমধ্যেই বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়া অনেকের চাকরি চলে গিয়েছে আদালতের নির্দেশে। আন্দোলনকারী মঞ্চের দাবি, স্বচ্ছতার সঙ্গে স্কুল সহ বিভিন্ন সরকারি পদে দ্রুত নিয়োগ করতে হবে।