skip to content
Saturday, June 29, 2024

skip to content
HomeদেশGovernment Panel for Social Media Content: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লাগাম কেন্দ্রের, তথ্য...

Government Panel for Social Media Content: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লাগাম কেন্দ্রের, তথ্য প্রযুক্তি আইনে সংশোধন

Follow Us :

নয়াদিল্লি: তথ্য প্রযুক্তি আইনে (Information Technology Act) সংশোধন (Amendment) আনল ভারত সরকার। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) এই সংশোধনের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ভারতে ব্যবসা করা সবকটি সোশ্যাল মিডিয়ার উপর এই আইন প্রযোজ্য হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, তথ্য প্রযুক্তি আইনে এই সংশোধন এনে বড় টেক সংস্থাগুলির (Tech Firms) উপর লাগাম পরাতে চলেছে কেন্দ্র। ২৮ অক্টোবর থেকেই সংশোধন কার্যকর হয়েছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কন্টেন্ট মডারেশন (Content Moderation)-এর বিষয়ে ব্যবহারকারীদের (Users) অভিযোগ শোনার জন্য সরকারি প্যানেল (Government Panel) বসাবে মন্ত্রক।

২০১৪ সাল থেকে কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি (BJP)। গত আট বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ডিজিটাল মাধ্যম নিয়ে দেশের জনগণকে উৎসাহ দিলেও বড় বড় টেক কোম্পানিগুলির সঙ্গে বিজেপি সরকারের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। বরং সম্পর্কের মধ্যে টানাপড়েন রয়েছে। ফেসবুক (Facebook), ইউটিউব (YouTube) এবং টুইটার (Twitter)-এর মতো সংস্থাগুলির উপর নিয়মের কড়াকড়ি দিনদিন আরও শক্ত করেছে এবং করছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া কন্টেট নিয়ে টেক সংস্থাগুলির সঙ্গে ভারত সরকারের (Indian Government) সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ। কেন না অনেক সময়তেই তাদেরকে কোনও নির্দিষ্ট পোস্ট সরানোর অনুরোধ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট টেক সংস্থাগুলিকে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে সংশ্লিষ্ট পোস্ট তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে অপসারণ (Remove) করতেও হয় বাধ্য হয়। 

আরও পড়ুন: Delhi Airport: আগুন নিভলেও এক ঘণ্টা বিমানে আটকে ছিলেন ১৭৭ জন যাত্রী!  

নিয়ম অনুযায়ী যে কোনও সোশ্যাল মিডিয়া ফার্মে অভিযোগ নিষ্পত্তি করার জন্য আধিকারিক (In-House Grievance Redress Officer) থাকা প্রয়োজন এবং পদস্থ কার্যনির্বাহী কর্মকর্তাও থাকা দরকার, যিনি আইন প্রণেতাদের সঙ্গে সমন্বয়সাধণ করবেন যে কোনও সমস্যার ক্ষেত্রে। তথ্য প্রযুক্তি আইনে নতুন সংশোধন করা ফলে এবার থেকে সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) চালানো সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগটি নিতে হবে এবং ১৫ দিনের মধ্যে সমাধান করতে হবে, অথবা সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্ম থেকে তথ্য মুছে ফেলার অনুরোধ এলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে। 

গত জুনে ভারত সরকার তথ্য প্রযুক্তি আইনের খসড়া জারি করেছিল। তাতে কোম্পানিগুলির উদ্দেশ্যে বলা হয়েছিল, “ভারতের সংবিধানের অধীনে নাগরিকদের প্রদত্ত অধিকারকে সম্মান করতে হবে” এবং সেই সঙ্গে সরকারি প্যানেল গঠনেরও প্রস্তাব দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ভারত সরকারের যুক্তি হল, কন্টেট মুছে ফেলার অনুরোধ জানানো ব্যবহারকারীরা অর্থাৎ ইউজাররা তাঁদের সিদ্ধান্ত জানানোর মতো সঠিক মঞ্চ পাচ্ছেন না, আপিল করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই, ফলে তাঁদের আইনের পথে হাঁটতে হচ্ছে এবং আদালতে দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। ভারত সরকার এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন।  গত জুনে ভারত সরকার কোনও কোম্পানির নাম না করেই কিংবা নির্দিষ্ট কোনও অধিকারের কথা উল্লেখ না করেই জানিয়েছিল, “বেশ কিছু (প্রযুক্তি) মাধ্যম ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘন করেছে”। তথ্য প্রযুক্তি আইন সংশোধন করে ভারত সরকার এই বিষয়টি দেখার জন্য যে সরকারি প্যানেল তৈরি করবে, তাতে একজন চেয়ারপার্সন এবং দু’জন পূর্ণ সময়ের সদস্য থাকবেন, পাশাপাশি দু’জন স্বাধীন সদস্যও নিয়োগ করা হবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular