Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeজেলার খবরJune Maliya: মেদিনীপুরে 'দিদির দূত' জুন দলের কর্মীদেরই বিক্ষোভের মুখে, ছাড়লেন এলাকা

June Maliya: মেদিনীপুরে ‘দিদির দূত’ জুন দলের কর্মীদেরই বিক্ষোভের মুখে, ছাড়লেন এলাকা

Follow Us :

মেদিনীপুর: চা-চক্রে গিয়ে দলের কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে জুন মালিয়া (June Maliya)। বিভাজনের রাজনীতির নামে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের (TMC)  কর্মীরা। শনিবার সন্ধ্যার পর মেদিনীপুরে (Medinipur) ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) কর্মসূচিতে যান মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া৷ পানপাড়া এলাকাতে গিয়ে একটি চা দোকানের সামনে বেশ কিছুক্ষণ জনসংযোগ করেন তিনি। এদিন সেখানে শামিল ছিলেন দলবিরোধী কাজে সাসপেনশনে থাকা একদল পুরনো তৃণমূল কর্মী৷ তারই মাঝে হঠাৎ করে তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে বেধে যায় বচসা।  

মেদিনীপুর পুরসভা এলাকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ‘দিদির দূত’ হয়ে যান জুন মালিয়া৷ এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুরপ্রধান তথা তৃণমূলনেতা সৌমেন খান৷ পানপাড়া এলাকাতে জুল মালিয়া প্রবেশ করবেন জেনেই আগে থেকে লোকজন জড়ো হন একটি চায়ের দোকানে৷ সেখানে ভিড়ের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুরনো  তৃণমূল কর্মী এরশাদ আলি সহ তাঁর অনুগামীরা৷ বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাঁদের সঙ্গে চা-চক্র চলে৷ ওই সময় সেখানে হাজির হন একদল স্থানীয় তৃণমূল কর্মী৷ বিক্ষোভ স্লোগান শুরু করেন তাঁরা৷  তাঁরা সকলেই তৃণমূল কাউন্সিলর মোজাম্মেল হোসেনের সহকর্মী বলে জানা গিয়েছে৷ 

আরও পড়ুন: CV Ananda Bose: দক্ষিণেশ্বরে রাজ্যপাল, সস্ত্রীক পুজো দিলেন, ঘুরে দেখলেন রামকৃষ্ণের ঘর 

দলের সক্রিয় কর্মীদের না জানিয়ে দল বিরোধীদের সঙ্গে আড্ডা। দল  বিভাজনের  রাজনীতির নামে ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা। পরিস্থিতি দেখে দ্রুত এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যান জুন মালিয়া৷ স্থানীয় তৃণমূলের কাউন্সিলর মোজাম্মেল  হোসেন বলেন,  আমরা সক্রিয় কর্মী। আমার এখানে দিদি (জুন মালিয়া) এলেন, কিন্তু আমরাই কিছুই জানতে পারিনি৷ দলবিরোধী কাজে সাসপেন্ড হওয়া লোকজনের সঙ্গে চা-পর্ব সারলেন তিনি৷ তাই কর্মীরা মেনে নিতে পারেনি। বিক্ষোভ দেখিয়েছে৷ আমাদের না জানিয়েই এলাকায় এসে বিরোধীদের সঙ্গে বৈঠক। এটা  অত্যন্ত অপমানজনক৷ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, শীর্ষ নেতৃত্বকে বিষয়টি বিস্তারিত জানাব।  

এদিকে তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, বিষয়টা নিয়ে কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে৷ মেটানোর চেষ্টা করছি৷ তবে এখনও পর্যন্ত  জুন মালিয়া এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি৷  

সাসপেন্ডেড কর্মী এরশাদ আলি বলেন, এলাকার বহু মানুষের ক্ষোভ ছিল। ক্ষুব্ধ সেই সমস্ত লোকজনকে নিয়ে আমরা প্রস্তুত ছিলাম দিদির দূতকে জানাব বলে। তাই বিধায়ক আসতে আমরা গিয়েছিলাম। 

জুন মালিয়ার সঙ্গে থাকা তৃণমূলনেতা সৌমেন খান বলেন,  দিদি (জুন মালিয়া) কোনও দলবিরোধীদের সঙ্গে আড্ডা দেননি৷ উনি অসুস্থ একজনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন৷ সেই ভিড়ে কে ছিলেন না ছিলেন তা তিনি দেখেননি৷

RELATED ARTICLES

Most Popular