নয়াদিল্লি: ২০২৩-‘২৪ অর্থবর্ষের (FY 2023-24) বাজেট (Budget) প্রস্তাবে পূর্বঘোষিত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে (PSUs) বেসরকারিকরণের (Privatisation) পথে হাঁটবে। তবে এ বছর নতুন করে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা (CPSE) বেচে দেওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রে জানা গিয়েছে, আসন্ন বাজেটে বাস্তবমুখী বেসরকারিকরণের পথ বেছে নেবে সরকার। বিলগ্নিকরণের (Disinvestment) লক্ষ্যমাত্রা ধীরে চলো নীতিতে নিয়ে যেতে পারে অর্থমন্ত্রক। যার প্রধান কারণই হল, এ বছর ৯টি বিধানসভায় ভোট আছে। এবং আগামী বছর লোকসভা ভোটের কারণে ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করতে হবে। তাই দ্বিতীয় মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে বেসরকারিকরণের বিরাট প্রস্তাব এনে বিরোধীদের নিশানা হতে চায় না বিজেপি সরকার।
চলতি আর্থিক বছরে সরকার বিলগ্নিকরণের পথে ৬৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সামান্য অংশ বেচে মাত্র ৩১ হাজার ১০৬ কোটি টাকা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে সরকার। লোকসানে চলা এয়ার ইন্ডিয়াকে বেচার পরীক্ষায় উতরে যাওয়ার পরেও রুগ্ণ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রির চেষ্টা খুব একটা ফলদায়ক হয়নি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যেহেতু সামনেই লোকসভা ভোট, তাই এই বছরের বাজেটেও খুব বড়সড় বিলগ্নিকরণের ঘোষণার সম্ভাবনা কম।
আরও পড়ুন: Union Budget 2023: বাজেট কেমন হবে, কী ভাবছে আমজনতা?
মন্ত্রকের একটি সূত্রের কথা অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যে সংস্থাগুলিকে বিক্রির সিদ্ধান্ত অনুমোদন পেয়ে আছে, সেগুলি নিয়েই পথ চলার নীতি ঘোষিত হতে পারে। যার অর্থ হল, সরকার শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া, এনএমডিসি স্টিল লিমিটেড, বিইএমএল, এইচএলএল লাইফকেয়ার, কন্টেনার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া এবং আরআইএনএল ওরফে ভাইজাগ স্টিল, আইডিবিআইকে বেসরকারিকরণের পথে হাঁটবে কেন্দ্র।
সরকার এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার উপদেষ্টা নাঙ্গিয়া অ্যান্ডারসনের মতে, বেসরকারিকরণ করতে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। এটা নির্ভর করে কী ধরনের বেসরকারিকরণ হবে, অর্থনীতির কী অবস্থা, সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করে এটা। বেসরকারিকরণের পথে মধ্যপন্থা অবলম্বনের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, একটি শক্তপোক্ত নিয়ন্ত্রক কাঠামো এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারের উপরও জোর দেন নাঙ্গিয়া।