মহারাষ্ট্র: মহারাষ্ট্র সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি চাকরিতে রূপান্তরকামীদের (Transgenders) জন্য আসন সংরক্ষণের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে বলে জানিয়েছে। ২০ মার্চ বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court) রাজ্য সরকারকে রিজার্ভেশন প্যাটার্ন পর্যালোচনা এবং পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রধান বিচারপতি এস ভি গঙ্গাপুরওয়ালা এবং বিচারপতি সন্দীপ মার্নের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকার দ্বারা গঠিত একটি কমিটিকে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার কথা বলে। সোমবার ওই মামলার শুনানিতে বলা হয়, মামলাকারীদের ৭ জুনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন : AI Jobs in India | এআই-তে ৪৫ হাজার চাকরি, জেনে নিন বিস্তারিত
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুনে ৮০০ সাব ইনস্পেক্টর পদে নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়েছিল মহারাষ্ট্র (Maharashtra) পাবলিক সার্ভিস কমিশন। ওই পদের জন্য মহিলা হিসাবে আবেদন করেন বিনায়ক কাশিদ নামে এক রূপান্তরকামী। জন্মসূত্রে তিনি ছিলেন পুরুষ। পরে লিঙ্গ পরিবর্তন করেন। চাকরির জন্য আবেদন করে তিনি সংরক্ষণের আর্জি জানান। এদিন শুনানি চলাকালীন অ্যাডভোকেট ক্রান্তি এলসি বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কর্নাটক সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, পুলিশে নিয়োগের ক্ষেত্রে রূপান্তরকামীদের জন্য এক শতাংশ সংরক্ষণ রাখা হবে। তাঁর দাবি, মহারাষ্ট্রেও এই জাতীয় নীতির প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বোম্বে হাইকোর্টের কাছে জানতে চেয়েছিলেন মহারাষ্ট্রে কেন এমন নীতি কার্যকর হল না।
সংবাদ সংস্থা সুত্রে খবর, আদালতে বলা হয় ট্রান্সজেন্ডাররা সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণি (SEBC) বিভাগের অধীনে সংরক্ষণ পেয়েছে। বেঞ্চ জানতে চায়, একজন রূপান্তরকামী যদি সাধারণ শ্রেণির হয় সেক্ষেত্রে কী হবে ?
সুত্রে খবর, রাজ্য সরকার ৩ মার্চ চাকরি ও শিক্ষায় ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়োগের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তাতে বলা হয়েছিল, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করারা জন্য ১৪ জন সদস্যকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটিতে বিভিন্ন সচিবরা।