রানিনগর: পঞ্চায়েত সমিতি জয়ের পর বাম-কংগ্রেসের বিজয় সমাবেশ ঘিরে ধুন্ধুমার ঘটল মুর্শিদাবাদের রানিনগরে (Murshidabad Raninagar)। কংগ্রেস কর্মীদের সমাবেশে আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশ এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুক্রবার সন্ধ্যায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রানিনগর। উত্তেজিত জনতা রানিনগর থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়, থানার আসবাবপত্র ভেঙে চুরমার করা হয়। আক্রান্ত হয় পুলিশও। থানা লাগোয়া তৃণমূলের একটি পার্টি অফিসে হাসলা চলে। পার্টি অফিসের এসি মেশিন সহ চেয়ার টেবিল ভেঙে তছনছ করা হয়। একাধিক বাইক ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ লাঠি চালিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। আশপাশের বিভিন্ন থানা থেকে পুলিশ নিয়ে আসা হয়। ঘটনাস্থলে হাজির জেলা পুলিশের পদস্থ অফিসাররা।
পুলিশ এবং তৃণমূলের অভিযোগ, কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা বিনা প্ররোচনায় তাণ্ডব চালিয়েছে। কংগ্রেসিদের হামলায় শাসকদলের বেশ কয়েকজন জখম হন বলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ। তাঁরা জানান, রানিনগরের কংগ্রেস নেতা জাহাঙ্গিরের নেতৃত্বে হামলা হয়। পুলিশের দাবি, তাদের বেশ কয়েকজন কর্মী হামলায় জখম হয়েছেন।
আরও পড়ুন: যাদবপুরের ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা
স্থানীয় সূত্রের খবর, রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতি বাম-কংগ্রেসের দখলে যাওয়ার পর এদিন বিজয় সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই সমাবেশে বক্তা ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সমাবেশে আসার সময় কংগ্রেস কর্মীদের পুলিশ এবং তৃণমূল কর্মীরা বাধা দেন বলে অভিযোগ। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা থানায় এবং তৃণমূল পার্টি অফিসে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। রাতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ১০ জনকে আটক করেছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, পুলিশ নিরীহ নাগরিকদের উপর জুলুমবাজি চালাচ্ছে। রাতেও এলাকায় উত্তেজনা বহাল। চলছে পুলিশি টহল।