কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার তদন্তে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। গঠন করা হয়েছে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেটিং টিম (সিট)। যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ওই পড়ুয়ার বয়স ছিল ১৮ বছরের কম। তাই ধৃত ১২ জনের বিরুদ্ধে পকসো আইনেও (Pocso Section) মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো ধারা যুক্ত করার আবেদন জানানো হয় আলিপুর আদালতে। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। ১১ সেপ্টেম্বর সকলকে পকসো কোর্টে তোলা হবে।
গত ৯ অগাস্ট যাদবপুরের হস্টেল থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের ছাত্রের। এই ঘটনায় ছাত্রের বাবা ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলেন হস্টেরে আবাসিকদের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির তদন্তে উঠে এসেছে র্যাগিংয়ের তত্ত্ব। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র সহ মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার দিন পড়ুয়াকে বিবস্ত্র করা ও যৌনতা নিয়ে কুমন্তব্য করা হয়েছিল। এমন তথ্য উঠে এসেছে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে। ওই তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারা যোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধূপগুড়ির জয়কে ‘বাংলার মাটি, বাংলার জলের জয়’ বললেন তৃণমূলনেত্রী
সূত্রের খবর, এবার থেকে যাদবপুরকাণ্ডের তদন্ত করবে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। ইতিমধ্যেই যাদবপুর থানার থেকে তদন্তভার নিয়ে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তের জন্য তৈরি করা হবে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন মৃত ছাত্রের বাবা-মা। দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলে পরিবারকে আশ্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।
 ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার তদন্তে হোমিসাইড শাখা। গঠন করা হয়েছে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেটিং টিম। যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ওই পড়ুয়ার বয়স ছিল ১৮ বছরের কম। তাই ধৃত ১২ জনের বিরুদ্ধে পকসো আইনেও (Pocso Section) মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার ধৃতদের পকসো ধারা যুক্ত করার আবেদন জানানো হয় আলিপুর আদালতে।){kind=link}