প্রাক-বড়দিনের সকালটা একটু অন্যরকম কাটল দিল্লির বাসিন্দাদের। তাঁর একশো দিনেরও বেশি ভারত জোড় পদযাত্রা (Bharat Jodo Yatra) ঘোষণা মতই আপাতত স্থগিত রেখে মা আর বোনকে পাশে নিয়ে রাজধানীতে ফিরলেন রাহুল গান্ধী। শনিবার হরিয়ানা হয়ে দিল্লি ফেরেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। আর রাজধানীতে ফেরার আগে দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করে রাহুলের বার্তা, ওরা ঘৃণা ছড়াতে চাইবে। আর আমরা ভালবাসার কথা বলব।
ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধীকে চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেসের “ভারত জোড়ো” যাত্রায় যেন কোভিড বিধি মেনে চলা হয়। অর্থাৎ মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি জানানো হয়েছিল, শুধুমাত্র জোড়া টিকা নেওয়া ব্যক্তিদেরই যেন যাত্রায় হাঁটার অনুমতি দেওয়া হয়। অবশ্য চিঠির মূল বক্তব্য ছিল, একান্ত যদি কোভিড বিধি মেনে চলা না যায়, তাহলে যেন যাত্রা স্থগিত রাখা হয়।
আর তার জবাবও দিয়েছেন ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। বৃহস্পতিবার ভারত জোড়ো যাত্রায় হরিয়ানায় পৌঁছান রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সেখানকার এক জনসভায় তিনি বলেন, “যাত্রা কাশ্মীর পর্যন্ত যাবেই। ওরা(পড়ুন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার) যাত্রা বন্ধ করতে নতুন কৌশল নিয়েছে। আমায় চিঠি লিখে জানানো হচ্ছে, কোভিড (Covid) পরিস্থিতি চিন্তা বাড়াচ্ছে, যাত্রা বন্ধ করুন। আসলে ওরা সত্যের জন্য দেশকে একজোট হতে দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছে।”
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Union Health Minister) জানিয়েছিলেন, যাত্রা বন্ধের চিঠির মধ্যে রাজনীতির কিছু নেই। যার জবাবে রাহুল গান্ধীর নিশানা, আসলে দেশের আমজনতার যে অন্তর্নিহিত শক্তি আর সত্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মানসিকতা তাকেই ভয় পেয়েছে বিজেপি। শনিবার সন্ধ্যায় লালকেল্লায় (Red Fort) মহাত্মা গান্ধী আর জওহরলাল নেহরুর স্মারকে শ্রদ্ধা জানানোর কথা কংগ্রেস (Congress) নেতাদের। আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে হাত সে হাত জোড়ো যাত্রায় সামিল হচ্ছে কংগ্রেস। নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল।