খাল সংস্কারের নামে যেন গাছ কাটার (Tree Cutting) ধ্বংসলীলা চলছে ভাঙড়ে। খালের দু পাড়ের সমস্ত গাছ রাতারাতি কাটা হচ্ছে। কদম, ডুমুর, বাললা, শিরিস, খেজুর যেমন আছে তেমন আছে দেবদারু, ইউক্যালিপটাস, লম্বু গাছ। আম, জাম, পেয়ারা, সবেদার গাছও আছে খালপাড়ে। অভিযোগ সেই গাছই সাফ হয়ে গিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল (AITC) নেতৃত্ব ও ঠিকাদারের (Contractor) যোগসাজসে।
যার জেরে খাল পাড়ের সবুজ গাছে মোড়া রাস্তা ধু ধু করছে মরুভূমির (Desert) মত। নির্বিচার গাছ কাটা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, সেই ক্ষোভে কেউ কর্ণপাত করেননি। ভাঙড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিনটি নিকাশী খাল নিউ টাউন (New Town) ভাঙড় হয়ে হাড়োয়ার (Haroa) কুল্টিতে বিদ্যাধরী নদীতে মিশছে। গত বছর বর্ষায় খালগুলির (Canal) জলে উপচে পড়ে নিউ টাউন। সল্টলেকও জলমগ্ন হয়েছিল। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে খাল সংস্কার শুরু করে সেচ দপ্তর।
ভাঙড়ের বাসিন্দা করিম মোল্লার বক্তব্য, বাগজোলা খালাপাড়ের জামিরগাছি থেকে গাবতলা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার গাছ ছিল।কয়েকদিন আগে খাল সংস্কারের নামে সব গাছ কেটে বিক্রি করে দেয় স্থানীয় নেতারা। যে উদ্দেশ্যে খাল সংস্কার হচ্ছে তা কোণ কাজে লাগবে না, গাছ কাটার ফলে পাড় ভেঙে সব মাটি ধ্বসে আবার খালে চলে যাবে।‘ এই মূহুর্তে ভাঙড় খালের সংস্কার চলছে কোড়লবেড়িয়া, ভোজেরহাট, বেওতা এলাকায়। কোড়লবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা গৌতম মণ্ডল বলেন, দামী দামী বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে প্রকাশ্য দিবালোকে।স্থানীয় নেতারা পইয়সার বিনিময়ে সেই গাছ বিক্রি করে দিচ্ছে কাঠ ব্যাপারীদের। আমরা গাছ কাটা বন্ধ করতে প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ করেছি।
সিপিএম নেতা উৎপল মণ্ডল বলেন, শুধু গাছ নয়, মাটি নিয়েও দুর্নীতি হচ্ছে। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতারা পয়সার বিনিময়ে খালের পলি দিয়ে বিভিন্ন নিচু জমি ভরাট করে চলেছেন”প্রশাসন ঠুং জগ্ননাথ হয়ে বসে আছে।যার দিকে অভিযোগের তীর ভাঙড়ের বেওতা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আবু সুফিয়ান গাছ কাটার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ‘লের নিচের দিকে যে ছোট ছোট গাছ আছে সেগুলি স্থানীয়রা কেটে নিয়ে যাচ্ছে।কোন গাছ বিক্রি করে তৃণমূল পয়সা পায়নি। বিরোধীরা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।0