নয়াদিল্লি: দেশের ডিজিপি’তে (GDP) মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (Micro, Small, and Medium Enterprises – MSME) ক্ষেত্রের অবদান ৩৩ শতাংশ। সারা দেশজুড়ে এই শিল্প ১২০ মিলিয়ন কর্মসংস্থান (Job Opportunity) সৃষ্টি করেছে। ফলে দেশের অর্থনীতিতে এটি অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। তবে পাশাপাশি এটাও উল্লেখ করতে হবে, বর্তমানে এই সেক্টরে একাধিক সমস্যা (Problems) রয়েছে এবং আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটে (Upcoming Union Budget) সেই সমস্যাগুলির সমাধান করা প্রয়োজন, তাহলে কর্মসংস্থানে বৃদ্ধি (Job Growth) ঘটবে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Union Finance Minister Nirmala Sitaraman)। বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রে অর্থায়ন, পরিকাঠামো এবং আনুষ্ঠানিককরণের (Financing, Infrastructure and Formalization) মতো চ্যালেঞ্জজনক সমস্যা রয়েছে এবং সরকারের (Government) কাছে সুযোগ রয়েছে এই কেন্দ্রীয় বাজেটে সেগুলি সমাধান করার, যাতে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ে।
আরও পড়ুন: Snow Leopard: নেপালে ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফারের লেন্সে ধরা পড়ল স্নো লেপার্ড
মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে ২০ লক্ষ কোটি টাকার ক্রেডিট গ্যাপ (Credit Gap) রয়েছে, যা বৃহত্তম সমস্যা এই সেক্টরে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঋণসমস্যা মেটাতে মাইক্রো শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত উদ্যোগপতিরা (Entrepreneurs) বাধ্য হয়ে পরিবার, বন্ধুবান্ধব কিংবা স্থানীয় ঋণদাতাদের (Family, Friends and Local Moneylenders) থেকে অর্থ ঋণ নিয়ে থাকেন এবং এর জন্য চড়া সুদও (Higher Interest Rates) দিতে হয় তাঁদের। বিশেযজ্ঞ মহল বলছে, সরকার যদি এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রাথমিক ক্ষেত্রের ঋণে এমএসএমই-এর জন্য অর্থের নির্দিষ্ট পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রের জন্য ক্রেডিট গ্যারান্টি প্রোগ্রাম (Credit Guarantee Program for MSMEs) চালু করে, তাহলে এই সমস্যাটি মেটানো সম্ভব হবে। কারণ, এর ফলে যেমন মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি সহজেই অর্থ সংস্থান পাবে, তেমনই ব্যবসাও বাড়বে এবং নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হবে (Business Expansion and Job Creation)।
অর্থাভাবের কারণে এমএসএমই’গুলিতে পরিকাঠামোর অভাব (Lack of Infrastructure) রয়েছে, এই কারণে পরিচালন খরচ (Operational Cost) বেড়ে যায়, পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বিতার দৌড়েও পিছিয়ে পড়ে তারা। পরিকাঠামো উন্নয়নে অর্থ বাড়ালে, বিশেষ করে গ্রামীণ ক্ষেত্রে, প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, এই ক্ষেত্রের হাল ফেরাতে বাজেটে সামান্য কর ছাড়ের (Tax Relaxation) বিষয়টিও বিবেচনা করা যেতে পারে কিংবা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম (Machineries and Equipmenrs) ক্রয়ের ক্ষেত্রেও আর্থিক সহয়তা দেওয়ার কথা ভেবে দেখতে পারে সরকার।