skip to content

skip to content
HomeআজকেAajke | তৃণমূল জমানায় নাট্যোৎসবে ছবি নেই মমতার?

Aajke | তৃণমূল জমানায় নাট্যোৎসবে ছবি নেই মমতার?

Follow Us :

ভরপুর তৃণমূল জমানা, সে যতই সিবিআই আর ইডি হানা হোক, বিধানসভা, রাজ্যে তৃণমূল সর্বত্র। নো প্লে অ্যান্ড ওনলি ওয়ার্ক মেকস জ্যাক অ্যা ডাল বয়, একথা জানেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজেই সর্বত্রই এক উৎসবের মেজাজ, সে দুয়ারে সরকারই হোক বা উত্তরবঙ্গ উৎসব বা রাষ্ট্রপতির সম্বর্ধনা, ধামসা মাদল হাজির। শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা? সুপর্ণা না জানলেও কলকাতার মানুষজন জানেন, নন্দন চত্বরে মেলা শুরু হলেই শীত এসে যায়। একে একে সিনেমা, গান, নাটক, কবিতা মেলার মধ্যমণি হিসেবেই হাজির থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। উৎসবকে এক এলিট, শিক্ষিত, উঁচুদরের ব্যাপার থেকে নামিয়ে তাতে গণ শব্দটা জুড়েছেন তৃণমূল নেত্রী একথা বামপন্থীরাও স্বীকার করেন। সেসব উৎসবে গিয়ে অনীক দত্তের পছন্দ নাও হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর সহাস্য মুখের ঝুলে থাকা, কিন্তু তা তো থাকে। যেমন ৪ কিলো গমের প্যাকেটে ঝোলে নরেন্দ্র মোদির ছবি, কই তা নিয়ে ক্ষুব্ধ অনীক দত্তকে তো দেখিনি, দেখবই বা কী করে, উনি কি র‍্যাশনের চাল খান? থাক সে কথা, আপাতত বাওয়াল ছবি থাকা নিয়ে নয়, ছবি না থাকা নিয়ে। মঞ্চের চেয়ে অডিটোরিয়ামে লোক কম। হ্যাঁ, এই ছবি গতকাল দেখলাম পাঠাল আমাদের জেলা সংবাদদাতা শাহজাহান আলি। 

মঞ্চে হাজির তিন তিনজন মন্ত্রী। তৃণমূল জমানায় চলতি কথা হল, পোস্ট একটাই, বাকি সবই ল্যাম্প পোস্ট। তা হোক, তবুও তিনজন মন্ত্রী, প্রবীণ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, দু’ দুজন আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু, বীরবাহা হাঁসদা। মন্ত্রী হাজির, নিশ্চয়ই সান্ত্রীরা হাজির, মঞ্চ সাজানোও হয়েছে, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটাও ছবি নেই। এ কি নির্বাচন চলছে নাকি যে নির্বাচন কমিশনের আদেশ মেনে নেত্রীর ছবি তুলে নেওয়া হয়েছে? তাও নয়। উৎসুক এবং দুষ্টু মানুষদের জানতে ইচ্ছেই করবে যে, যে মেদিনীপুর শহরের প্রদ্যোৎ ভবনে এসব ঘটল সে শহরে জেলার ডিএম কে? সেই আমলারা কারা, যারা এই উৎসবের আয়োজন করেছিল? আসছি সেসব কথায়, কিন্তু বুঝতেই পেরেছেন যে আমাদের আজকের বিষয় আজকে হল তৃণমূল জমানায় নাট্যোৎসবে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি নেই কেন? উৎসবে মানুষ নেই কেন?

বেশ কিছুদিন আগে এক সিনিয়র সাংবাদিক দাদার কাছে শুনেছিলাম এই গল্প। নাট্যকার পরিচালক অভিনেতা বিভাস চক্রবর্তী তখন পরিবর্তনের অন্যতম কাণ্ডারি, এক বামপন্থী মানুষ তৃণমূলের আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন। তাঁর নতুন নাটক এসেছে, তিনি দুঃখ করে বলছেন, এখন সিপিএম আমার নাটক দেখতে আসে না আর তৃণমূলের ছেলেমেয়েরা নাটক দেখেই না, কাজেই হল ফাঁকা। এটাই বাস্তব ছবি। কিন্তু সে ছবি তো বদলেই দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উৎসবে উৎসবে লোকে লোকারণ্য মেলাপ্রাঙ্গণ। কিন্তু ৩-৪ মে আদিবাসী একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতার আসরে মঞ্চের থেকে অডিটোরিয়ামে মানুষ কম, যাঁরা এসেছেন তাঁদের মধ্যে আদিবাসী আরও কম। তাঁরা আসেননি, এই ক্ষোভে রাজ্যে শাসকদলের অন্যতম মুখ বীরবাহা হাঁসদা সত্যিটা বলেই ফেললেন। বললেন, একটা ডিজে অর্কেস্ট্রা থাকত, ভিড় হয়ে যেত। তার বদলে নাটক তাই কি মানুষ এল না? তিনি বললেন কোট আনকোট, “মুখ্যমন্ত্রী দু’হাত ভরে জঙ্গলমহলের আদিবাসীদের জন্য বিভিন্ন উপহার দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে আমরা তা গ্রহণ করার অবস্থায় নেই। তা না হলে আজকে এই হল ফাঁকা থাকত না।” সত্যিটা হল মুখ্যমন্ত্রী যতই দিন, সংস্কৃতির জগৎ যে ক্ষয়রোগে আক্রান্ত তাতে এক ধাঁচের গিলে লে গিলে লে ছাড়া আর কেউই তেমন পাত্তা পাবে না। সমস্যা অনেক অনেক গভীরে। 

আরও পড়ুন: Aajke | সিবিআই-এর টার্গেট মমতা মন্ত্রিসভা 

কিন্তু মানস ভুঁইয়ার চোখে ধরা পড়েছে অন্য সমস্যা। তিনি প্রবীণ নেতা, তিনি কংগ্রেস করেছেন, তৃণমূল করছেন, তিনি মঞ্চ থেকেই তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। তিনি দায় ঠেলে দিলেন আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের দিকেই। বললেন, “আমাদের সরকারকে অপমান করার কোনও অধিকার নেই। আচ্ছা টুনি বল খেলতে গেলে দুই থেকে পাঁচ হাজার লোক হয়ে যায়। মেদিনীপুরের আবেগকে অবহেলা করবেন না। প্রশাসকের মেদিনীপুরের ইতিহাসটা পড়া প্রয়োজন ছিল। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এই কাণ্ডটা কারা করে তাদের আমি চিনি। প্রশাসকরা একবার সেটা জেনে নেবেন। এত বড় কর্মসূচি এখানে মুখ্যমন্ত্রীর একটা ছবি পর্যন্ত নেই? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে দু’ হাজার কথা বলছি এখানে, অথচ তাঁর কোনও ছবি নেই? এটা কার গাফিলতি জেলাশাসক দেখবেন দয়া করে।” অর্থাৎ গোটা উৎসব প্রাঙ্গণ জুড়ে কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটাও ছবি নেই কেন, সেটাই ছিল তাঁর প্রথম প্রশ্ন। মানুষও কি সেই প্রশ্নই করছেন? আসুন জেনে নিই মানুষের কাছ থেকে। 

পৃথিবীর ইতিহাসে আমরা চাই বা না চাই ব্যক্তি সর্বদাই এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, করছে, করবে। মানুষ ইতিহাস লেখে, এটা ইতিহাসের সেই পর্যায় যখন আমরা ইতিহাসের কোনও রূপান্তর দেখি। কিন্তু তার আগে পেছনে? ব্যক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য। লেনিন, স্তালিন মাও ছাড়া রুশ বিপ্লব হয় নাকি? কিউবাতে ফিদেলকে ছাপিয়েই চে গ্যেভারা, আমেরিকার গৃহযুদ্ধে আব্রাহাম লিঙ্কন বা ডেভিস জেফারসনের নাম থাকবে না? বাংলা সিনেমা উৎসবে থাকবেন না সত্যজিৎ মৃণাল ঋত্বিক? সাহিত্য মেলা হবে রবি ঠাকুর থাকবেন না। মানস ভুঁইয়া সম্ভবত সেই সুর ধরেই বলেছেন, বাংলায় উৎসব হবে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম থাকবে না? হয় নাকি? আপনাদের মতামত জানান, আজ এখানেই শেষ করছি আজকে।

 

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Abhishek Banerjee | তিন মাস পরে গ্যারেজ হবে ভাইপো, হুমকির সুর প্রার্থীর গলায়
00:00
Video thumbnail
Tanmoy Bhattacharya | তন্ময় ভট্টাচার্যর মাস্তানি কলার ধরে টান
00:00
Video thumbnail
Rekha Patra | পুলিশকে ধাক্কা রেখা পাত্রর, আর কী কী বললেন
00:00
Video thumbnail
Madan Mitra | ম্যাও ম্যাও করছো একটু দুধ খাও স্বমহিমায় মদন মিত্র
00:00
Video thumbnail
Kunal Ghosh | সুদীপ না তাপস ? দিক বেছে নিলেন কুণাল ঘোষ
00:00
Video thumbnail
Bhangar News | ভোটের ভাঙড় উত্তপ্ত কী অবস্থা? দেখুন ভিডিও
00:00
Video thumbnail
Mithun Chakraborty | রাজনীতি ছাড়লেন মিঠুন, মহাগুরুর ঘোষণা শুনুন
00:00
Video thumbnail
Lok Sabha Election 2024 | সন্দেশখালির ছবি ফিরল ফলতায়, লাঠি ঝাঁটা হাতে পথে মহিলারা
00:00
Video thumbnail
Sandeshkhali | Loksabha Election 2024 | ধুন্ধুমার কাণ্ড সন্দেশখালিতে, পুলিশ হঠাও স্লোগান
08:52
Video thumbnail
Loksabha Election 2024 | নির্বাচন প্রায় শেষের দিকে, কেমন হচ্ছে বারাসাতের ভোট
07:39